উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন বিজেপি মন্ত্রী বিনোদ আর্য। ফাইল চিত্র।
তাঁর ছেলে নেহাতই সহজ-সরল প্রকৃতির। কোনও মেয়েকে যৌনপেশায় নামতে চাপ দেওয়া বা খুনের মতো ঘটনায় যুক্ত থাকতেই পারে না। আজ এমনটাই দাবি করেছেন অঙ্কিতা ভাণ্ডারী খুনের মূল অভিযুক্ত পুলকিতের বাবা তথা উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন বিজেপি মন্ত্রী বিনোদ আর্য। তাঁর ‘সাদাসিধে বালক’ যেন সুবিচার পান সেই দাবিও তুলেছেন বিজেপি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত এই নেতা।
হৃষীকেশে ‘বনত্র’ রিসর্টের রিসেপশনিস্ট ছিলেন বছর উনিশের অঙ্কিতা। তাঁকে খুনের অভিযোগে পুলকিত গ্রেফতার হয়েছেন। হত্যার খবর প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্য জুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়তে থাকে। পরিস্থিতি আঁচ করে বিনোদকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিজেপি। বহিষ্কারের পরে আজই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন বিনোদ। তিনি বলেন, ‘‘ও তো সাদাসিধে বালক। পুলকিত শুধু নিজের কাজ নিয়েই থাকে। আমি চাই, আমার ছেলে এবং মৃতা দু’জনেই যেন সুবিচার পায়।’’ প্রাক্তন বিজেপি মন্ত্রীর দাবি, তাঁর ছেলে এই ধরনের কুকর্মের সঙ্গে কখনওই জড়িত থাকতে পারেন না। বহু দিন ধরেই পুলকিত তাঁর সঙ্গে থাকেন না বলেও জানিয়েছেন বিনোদ। বিজেপি তাঁকে বহিষ্কার করেছে বলেও মানতে নারাজ পুলকিতের পিতা। বিনোদের কথায়, ‘‘পুলকিত নির্দোষ। কিন্তু তদন্ত যাতে নিরপেক্ষ হয়, তাই নিজেই দল থেকে ইস্তফা দিয়েছি।’’
২০১৬ সালে পুলকিতের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সদ্য বহিষ্কৃত ওই বিজেপি নেতা অবশ্য তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে ওঠা ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। অতিমারিকালে লকডাউনের সময়ও পুলকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, নিয়মের তোয়াক্কা না করেই উত্তরপ্রদেশের বিতর্কিত বিজেপি নেতা অমরমণি ত্রিপাঠীকে নিয়ে উত্তরকাশীর সংরক্ষিত এলাকায় গিয়েছিলেন। সেই অমরমণি, যাঁকে এক মহিলাকে খুনের মামলায় ১৪ বছর কারাদণ্ড দিয়েছিল আদালত।