(বাঁ দিকে) এস জয়শঙ্কর। ওয়াং ই (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
তিন সপ্তাহের ব্যবধানে আবার চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইর সঙ্গে বৈঠকে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। কাজ়াখস্তানের রাজধানী অস্তানায় আয়োজিত শাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজ়েশন (এসসিও) সম্মেলনের পার্শ্ববৈঠকের পরে এ বার লাওসের রাজধানী ভিয়েনতিয়েনে ‘অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ-ইস্ট এশিয়ান নেশনস’ (আসিয়ান)-এর বৈঠকে অংশ নিতে গিয়ে।
জয়শঙ্কর টুইটার হ্যান্ডলে এই বৈঠক সম্পর্কে লিখেছেন, ‘‘আজ ভিয়েনতিয়েনে সিপিসি (চিনের কমিউনিস্ট পার্টি) পলিটব্যুরো সদস্য এবং বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইর সাথে সাক্ষাৎ হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আমাদের ধারাবাহিক আলোচনা অব্যাহত রেখেছি। সীমান্তের পরিস্থিতি অবশ্যই আমাদের সম্পর্কের উপর প্রতিফলিত হবে। ডিসএনগেজমেন্ট (মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনা পিছনো) প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে আমরা একমত। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) এবং অতীত চুক্তির প্রতি পূর্ণ সম্মান নিশ্চিত করতে হবে।’’
বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’দেশের বিদেশমন্ত্রীর এই আলোচনায় সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে। গালওয়ান সংঘর্ষের পরবর্তী পর্বে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মস্কোয় এসসিও বৈঠকের সময়েই এলএসি-তে উত্তেজনা কমাতে আলোচনায় বসেছিলেন দুই বিদেশমন্ত্রী। সেই সময়ে পাঁচ দফা পরিকল্পনা নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছিলেন তাঁরা। বৃহস্পতিবারের বৈঠকের পরে জয়শঙ্কর এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘পারস্পরিক স্বার্থেই আমাদের সম্পর্ক স্থিতিশীল করা প্রয়োজন। আলোচনার মাধ্যমে তাত্ক্ষণিক সমস্যাগুলির সমাধানই আমাদের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।’’ প্রসঙ্গত, এর আগেও এলএসির উত্তেজনা প্রশমনে গুরুত্ব দিয়ে জয়শঙ্কর বলেছিলেন, ‘‘সীমান্তের পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক না হলে ভারত-চিন সম্পর্কে স্থায়ী শান্তি আসবে না।’’