Assam Flood

বন্যা পরিস্থিতিতে অসমে দু’জনের মৃত্যু, দুর্ভোগে চার লক্ষেরও বেশি, ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা

মৌসম ভবন জানিয়েছে, ধীরে ধীরে অসমে বৃষ্টি কমবে। ১৪টি জেলায় মোট ১৪০টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। সেখানে ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০২৩ ১০:০৯
Share:

অসমে প্লাবিত এলাকা। —ফাইল চিত্র।

বন্যা পরিস্থিতি ঘিরে ক্রমেই উদ্বেগ বাড়ছে অসমে। এখনও পর্যন্ত দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। ৪.৮ লক্ষেরও বেশি মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৯টি জেলা। ১০৭ বর্গ কিমি এলাকায় ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই তথ্য জানিয়েছে অসমের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।

Advertisement

অসম প্রশাসন সূত্রে খবর, নলবাড়ি জেলায় ঘোগরাপার এলাকায় জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। এর আগে, বৃহস্পতিবার তামুলপুর এলাকায় আরও এক জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।

সে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, অসমের নিচু জেলাগুলি সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির মুখে পড়েছে বাজালি জেলা। সেখানে ২.৬ লক্ষেরও বেশি মানুষ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। নলবাড়িতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন ৮০ হাজার ৬১ জন বাসিন্দা। বরপেটায় এই সংখ্যাটা ৭৩ হাজার ২৩৩।

Advertisement

১৪টি জেলায় মোট ১৪০টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। সেখানে ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। ব্রহ্মপুত্র নদ-সহ ১০টি নদীর জলস্তর স্বাভাবিকের উপর রয়েছে। জোরহাট, ধুবড়িতে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে ব্রহ্মপুত্রের জল। মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী পাঁচ দিনে অসমে ধীরে ধীরে বৃষ্টি কমবে। আগামী কয়েক দিন সে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement