ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারী বৃষ্টি চেন্নাইয়ে। ছবি: পিটিআই।
ক্রমে অন্ধ্র উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’। সোমবার দুপুরে তা প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। মঙ্গলবার ‘ল্যান্ডফল’ হওয়ার কথা। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ইতিমধ্যে প্রবল ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে তামিলনাড়ুর চেন্নাই-সহ উপকূলবর্তী সাত জেলায়। আগামী কয়েক ঘণ্টা ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। বৃষ্টির কারণে চেন্নাইয়ে মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের। মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে বিমানবন্দর।
ভারী বৃষ্টির কারণে চেন্নাইয়ের বহু এলাকা জলমগ্ন। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, জলের স্রোতে ভেসে চলেছে পার্কিংয়ে রাখা গাড়ি। চেন্নাই পুলিশ জানিয়েছে, ভারী বৃষ্টিতে শহরে পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছে তারা। বৈদ্যনাথন উড়ালপুলের কাছে ৭০ বছরের এক প্রবীণের দেহ মিলেছে। তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। ফোরশোর এস্টেট বাস ডিপোর কাছে ৬০ বছরের এক মহিলার দেহ মিলেছে। তাঁরও পরিচয় জানা যায়নি। দিণ্ডিগুল জেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন ৫০ বছরের এক ব্যক্তি। তাঁর নাম পদ্মনাভন। পাণ্ডিয়ান নগরেও নিজের বাড়ির কাছে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক জনের। মৃতের নাম গণেশন (৭০)। বেসান্ত নগরে গাছ চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৫ বছরের এক যুবকের। নাম মুরুগান।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোর এবং মছলিপত্তনমের মাঝখান দিয়ে স্থলভাগে আছড়ে পড়বে মিগজাউম। তখন তার গতি থাকতে পারে ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার। ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ থাকতে পারে ১১০ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রবিবার রাত থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে উত্তর তামিলনাড়ুতে। চেন্নাই, চেঙ্গালপট্টু, কাঞ্চিপুরম, নাগাপত্তনম, কুড্ডালোর, তিরুবাল্লুর জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। সেই কারণে মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে চেন্নাই বিমানবন্দর। সোমবার বৃষ্টির কারণে চেন্নাই এবং সংলগ্ন তিন জেলায় স্কুল, কলেজ, সরকারি দফতর বন্ধ রাখা হয়েছে। কর্মীরা যাতে বাড়ি বসে কাজ করতে পারেন, বেসরকারি সংস্থাকে সেই অনুমতি দিতে বলেছে রাজ্য সরকার। উপকূলবর্তী এলাকায় পাঁচ হাজার ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিন পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফোন করে তাঁকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।