রামনাথ কোবিন্দ। —ফাইল চিত্র।
‘এক দেশ, এক ভোট’ নিয়ে প্রথম বৈঠক হচ্ছে ২৩ সেপ্টেম্বর। শনিবার ওড়িশার ভুবনেশ্বরে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান এসে এমনটাই জানালেন ‘এক দেশ, এক ভোট’ (ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন) নীতি রূপায়ণ সংক্রান্ত কমিটির প্রধান তথা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
‘এক দেশ, এক ভোট’ নীতির কার্যকর করার মাধ্যমে লোকসভা ভোটের সঙ্গেই সব রাজ্যের বিধানসভা ভোটও সেরে ফেলতে চাইছে কেন্দ্র। এ বিষয়ে মোদী সরকারের যুক্তি হল, এতে নির্বাচনের খরচ কমবে। একটি ভোটার তালিকাতেই দু’টি নির্বাচন হওয়ায় সরকারি কর্মীদের তালিকা তৈরির কাজের চাপ কমবে। ভোটের আদর্শ আচরণ বিধির জন্য বার বার সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ থমকে থাকবে না। নীতি আয়োগ, আইন কমিশন, নির্বাচন কমিশনও এই ভাবনাকে নীতিগত সমর্থন জানিয়েছে বলে কেন্দ্রের দাবি। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে প্রথম বার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরেই মোদী ‘এক দেশ, এক ভোট’ তত্ত্ব প্রকাশ্যে এনেছিলেন।
এক দেশ, এক ভোট নীতির সম্ভাব্য সব দিক নিয়ে আলোচনা করার জন্য গত ২ সেপ্টেম্বর প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠনের কথা জানায় কেন্দ্র। প্রথমে কোবিন্দ ছাড়াও আরও সাত জন সদস্যকে নিয়ে কমিটি গঠিত হয়েছিল। কমিটিতে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, লোকসভার নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী ছাড়াও থাকবেন গুলাম নবি আজাদ, এনকে সিংহ, সুভাষ সি কাশ্যপ, হরিশ সালভে এবং সঞ্জয় কোঠারী। কিন্তু কমিটিতে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গেকে না রাখার প্রতিবাদে কমিটির সদস্যপদ প্রত্যাখ্যান করেন অধীর।