ছবি: সংগৃহীত।
মহারাষ্ট্র জুড়ে সর্বাত্মক বন্ধের পর দিন মুম্বইতে দলিত নেতা জিগ্নেশ মেবাণী এবং ছাত্রনেতা উমর খালিদের সমাবেশ বাতিল করে দিল পুলিশ। পাশাপাশি, জাতিগত বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে ওই দু’জনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে এফআইআরও দায়ের করা হয়েছে।
গত কয়েক দিন ধরেই জাতিগত সংঘর্ষে উত্তপ্ত গোটা মহারাষ্ট্র। ১ জানুয়ারি পুণের ভীমা-কোরেগাঁওয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রায় গোটা রাজ্যেই হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। তারই অংশ হিসাবে গত কাল বুধবার রাজ্য জুড়ে বন্ধের ডাক দেয় দলিতদের একটি সংগঠন। প্রায় শ’দুয়েক দলিত সংগঠন তাদের সমর্থন করে। কিন্তু, সর্বাত্মক এবং সফল বন্ধ হয়েছে বলে দাবি করে ওই দিন বিকেলেই তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। বন্ধের দিন হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে এখনও পর্যন্ত ৩০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার ওই দুই নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের পাশাপাশি এ দিন তাঁদের অনুষ্ঠানও বাতিল করে মুম্বই পুলিশ।
১৮১৮-তে পুণের ভীমা-কোরেগাঁওয়ে পেশোয়াদের বিরুদ্ধে দলিতদের জয়ের দু’শো বর্ষপূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে গত ৩১ ডিসেম্বর এলগার পরিষদে এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন জিগ্নেশ এবং উমর। অভিযোগ, ওই অনুষ্ঠানে উস্কানিমূলক বক্ততার মাধ্যমে জাতিগত বিরোধ তৈরি করেছেন তাঁরা। এর পরই পুণের ডেকান জিমখানা থানায় জিগ্নেশ এবং উমরের বিরুদ্ধে বুধবার রাতে অভিযোগ দায়ের করেছেন অক্ষয় বিক্কড় ও আনন্দ ধুন্দ নামে দুই যুবক। ওই দু’জনের দাবি, তাঁরা কোনও সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নন। জাতিগত বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে ওই দুই নেতার বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা রুজু করার দাবিও ওই এফআইআরে করা হয়েছে। এলগার পরিষদ এলাকাটি বিশ্রামবাগ থানার অন্তর্গত হওয়ায় অভিযোগপত্রটি ওই থানায় পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন
মহারাষ্ট্রের দলিত বিক্ষোভে কোণঠাসা মোদী
পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, জিগ্নেশ এবং উমরের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ, ৫০৫ ও ১১৭ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিজেদের ভাষণে জিগ্নেশ এবং উমর ঠিক কী বলেছেন তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন
বন্ধে ভাঙচুর বিক্ষোভ, চড়া আঁচ মহারাষ্ট্রে
এই ধরনের খবর আপনার ইনবক্সে সরাসরি পেতে এখানে ক্লিক করুন
এর পরেই এ দিন মুম্বই পুলিশ গুজরাতের সদ্য নির্বাচিত বিধায়ক তথা জিগ্নেশ মেবাণী এবং ছাত্র নেতা উমর খালিদের সমাবেশও বাতিল করে দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, ‘সর্বভারতীয় ছাত্র সম্মেলন ২০১৮’ নামে ওই সমাবেশের অনুমোদন দেওয়া হয়নি। ওই সমাবেশের জন্য এ দিন মুম্বইয়ের ভাইদাস হল ভাড়া করা হয়েছিল। অনুমতি ছাড়া যে যাঁরা ওই অনুষ্ঠান করবেন বলে জানিয়েছিলেন, সর্তকতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এমন ১০০ জনকে নিজেদের হেফাজতে রেখেছে মুম্বই পুলিশ।