যুদ্ধবিধ্বস্ত রাশিয়া এবং ইউক্রেনও তালিকায় ভারতের অনেক উপরে রয়েছে। ছবি: প্রতীকী
২০ মার্চ আন্তর্জাতিক সুখ দিবস। তাই এই পৃথিবীর কোন দেশ কতটা সুখী, তার একটা তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। সেই তালিকায় ভারতের স্থান ভাবিয়ে তুলেছে নাগরিকদের। প্রতিবেশী বাংলাদেশের অবস্থা খুব ভাল না হলেও তালিকায় তারা ভারতের উপরে। প্রতিবেশী দেশ নেপাল, চীন, শ্রীলঙ্কাও ভারতের থেকে এগিয়ে রয়েছে। ১২৫তম স্থানে রয়েছে ভারত।
কোন দেশ কতটা সুখী, তা জানতে ১৫০টি দেশের মধ্যে সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। সমীক্ষার ভিত্তিতে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশন নেটওয়ার্ক। কিসের ভিত্তিতে তৈরি হয় এই তালিকা? জানা গিয়েছে, জিডিপি পার ক্যাপিটা, সামাজিক সহায়তা, স্বাস্থ্যকর জীবনের প্রত্যাশা, স্বাধীনতা, কম দুর্নীতি, উদারতা প্রভৃতি বিচার করে তৈরি করা হয় তালিকা।
তালিকায় আবারও শীর্ষে ফিনল্যান্ড। টানা ৬ বছর প্রথম স্থান ধরে রেখেছে ফিনল্যান্ড। আগের বছরগুলির মতোই প্রথম দিকে রয়েছে নর্ডিক দেশগুলি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ডেনমার্ক। আইসল্যান্ড রয়েছে তৃতীয় স্থানে। রিপোর্ট তৈরি করেছে যে দল, তার এক সদস্য জানিয়েছেন, নর্ডিক দেশগুলিতে ব্যক্তিগত এবং প্রতিষ্ঠানগত আস্থা অনেক বেশি। ইউরোপের অন্য দেশগুলির তুলনায় এ সব দেশে কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যাও অনেক কম। ২০২০-২১ সালে নর্ডিক দেশগুলিতে কোভিডে প্রতি এক লক্ষ জনে মারা গিয়েছেন ২৭ জন। সেখানে পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলিতে প্রতি এক লক্ষ জনে কোভিডে মারা গিয়েছেন ৮০ জন।
সমীক্ষক দলের সদস্য জন হেলিওয়াল জানিয়েছেন, ২০২১ সালে নর্ডিক দেশগুলিতে অপরিচিতকে সাহায্য করার প্রবণতা ‘নাটকীয় ভাবে’ বেড়ে গিয়েছে। ২০২২ সালেও সেই প্রবণতা অনেকটাই বেশি ছিল। ওই কঠিন সময়েও নর্ডিক দেশগুলির বাসিন্দাদের মধ্যে ইতিবাচক আবেগ অনেক বেশি ছিল।
তালিকায় এই প্রথম বার স্থান পেয়েছে লিথুয়ানিয়া। ২০ নম্বর স্থানে রয়েছে দেশটি। আমেরিকা রয়েছে ১৫তম স্থানে। প্রতিবেশী বাংলাদেশ রয়েছে ১১৮তম স্থানে। গত বারের থেকে অনেকটাই নেমে গিয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত রাশিয়া এবং ইউক্রেনও তালিকায় ভারতের অনেক উপরে রয়েছে। সুখী হওয়ার নিরিখে রাশিয়া রয়েছে ৭২তম স্থানে। আর ইউক্রেন রয়েছে ৯২তম স্থানে। তালিবান শাসিত আফগানিস্তান রয়েছে ১৩৭তম স্থানে।