নির্মলা সীতারামন। ছবি: এক্স (সাবেক টুইটার)।
বাজেটে ন’টি বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা জানালেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এই ন’টি ক্ষেত্রের মধ্যে রয়েছে কৃষি, কর্মসংস্থান, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও সামাজিক ন্যায়বিচার, উৎপাদন ও পরিষেবা, নগরোন্নয়ন, শক্তি, উদ্ভাবন ও গবেষণা এবং নতুন প্রজন্মের জন্য সংস্কার।
দেড় ঘণ্টা ধরে বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
ক্যাপিটাল গেনে করছাড়ের ঊর্ধসীমা বাড়িয়ে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা করার ঘোষণা অর্থমন্ত্রী নির্মলার। নিউ ট্যাক্স রেজিম বা নয়া কর কাঠামোয় ‘স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন’ ৫০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৭৫ হাজার টাকা করার ঘোষণা। পারিবারিক পেনশনের ক্ষেত্রে পেনশনভোগীরা অতিরিক্ত সুবিধা পাবেন।
দেরিতে আয়কর জমা দিলে তুলনায় কম জরিমানা। জানিয়ে দিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা।
চার শতাংশ শুল্ক কমায় দাম কমতে পারে তামার তৈরি যে কোনও দ্রব্যের। আয়করের নতুন কাঠামোয় স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন ৫০ হাজার থেকে ৭৫ হাজার টাকা হল।
সরকার আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি করতে চলায় দাম বাড়তে পারে পিভিসি এবং প্লাস্টিকজাত দ্রব্যের।
সরকার আমদানি শুল্ক কমিয়ে নেওয়ায় দাম কমছে সোনা, রুপো, মোবাইল ফোন, লিথিয়াম ব্যাটারি, চামড়াজাত দ্রব্য। দাম কমছে সৌর বিদ্যুতেরও। ক্যানসারের তিনটি জীবনদায়ী ওষুধের শুল্কেও ছাড় দিচ্ছে কেন্দ্র।
চলতি অর্থবর্ষে সম্ভাব্য রাজকোষ ঘাটতি হতে পারে ৪.৯ শতাংশ। রাজকোষ ঘাটতি ক্রমশ কমানোর কথা জানালেন নির্মলা।
বিদেশি বিনিয়োগ আনতে সহজ হবে নিয়ম, জানালেন অর্থমন্ত্রী।
পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর কেন্দ্রের। চলতি অর্থবর্ষে পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য খরচ করা হবে ১১.১১ লক্ষ কোটি টাকা। এই টাকা ভারতের জিডিপি-র ৩.৪ শতাংশ। পরিকাঠামো উন্নয়নে বেসরকারি বিনিয়োগেও উৎসাহ দেওয়ার কথা জানালেন অর্থমন্ত্রী।
ভারতকে বিশ্বের পর্যটন মানচিত্রে শীর্ষে তুলে ধরার কথা জানালেন অর্থমন্ত্রী। পর্যটন সংক্রান্ত অধিকাংশ প্রকল্পই যেতে চলেছে বিহারে। নতুন করে সাজানো হবে বুদ্ধগয়া, রাজগির এবং নালন্দাকে।
বন্যা রুখতে অসম, হিমাচল প্রদেশকে বিশেষ সাহায্যের কথা জানালেন অর্থমন্ত্রী। একই ভাবে সাহায্য করা হবে উত্তরাখণ্ড এবং সিকিমকেও।
গ্রামোন্নয়নের জন্য ২.৬৬ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে।
স্ট্যাম্প ডিউটি কমিয়ে মহিলাদের সম্পত্তি কেনার ক্ষেত্রে ছাড় দিচ্ছে কেন্দ্র।
বিভিন্ন ক্ষেত্রের চাকরিতে আগামী পাঁচ বছরে ১ কোটি যুবক-যুবতী ইন্টার্নশিপের সুযোগ পাবেন।
ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পে বিশেষ জোর। করা হবে ঋণের ব্যবস্থা। জানালেন নির্মলা।
বিহারের বিভিন্ন সড়ক প্রকল্পের জন্য ২৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর। বিশেষ আর্থিক সহায়তা অন্ধ্রপ্রদেশকে। চলতি অর্থবর্ষে অতিরিক্ত ১৫ হাজার কোটি টাকা পাবে অন্ধ্র। মূলত অমরাবতীতে নতুন রাজধানী নির্মাণের জন্য এই টাকা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান নির্মলা। প্রসঙ্গত, বিহারের জেডিইউ এবং অন্ধ্রের টিডিপি ‘সংখ্যালঘু’ মোদী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ শরিক দল।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় আরও তিন কোটি বাড়ি! কৃষি খাতে বরাদ্দ করা হচ্ছে ১.৫২ লক্ষ কোটি টাকা।
দেশের পূর্ব দিকের চার রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, অন্ধপ্রদেশ এবং বিহারের উন্নয়নে বিশেষ নজর দিচ্ছে কেন্দ্র। জানিয়ে দিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা। তৈরি হবে কলকাতা-অমৃতসর বাণিজ্য সড়ক।