এই সেই চিকিত্সক যাঁর বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি হয়েছে।
মানুষের সেবা করাই তাঁর কাছে বড় ধর্ম। আর সেই ধর্ম পালন করতে, মৃত্যুর পর নিজের অঙ্গ দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আরশাদ মনসুরি। প্রয়োজনীয় সইসাবুদও করে ফেলেছেন উত্তরপ্রদেশের কানপুরের এই চিকিত্সক। কিন্তু এ সমাজে আরশাদের মতো মানবপ্রেমী-ধর্মপ্রাণ-আধুনিক মানুষ যেমন আছেন, তেমনই আছেন ধর্মের নামে গোঁড়ামি আর অন্ধত্বের পূজারিরাও। অঙ্গদানের অঙ্গীকার করায় তাঁর বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করেছে স্থানীয় একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান। ওই প্রতিষ্ঠানের দাবি, ইসলাম ধর্ম অঙ্গদানে অনুমতি দেয় না। আরশাদকে একঘরে করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
কিন্তু ফতোয়ার পরও আরশাদ নিজের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন। ফতোয়ার নির্দেশ শোনার পর, কানপুরের রাম ডেন্টাল কলেজের ডিরেক্টর আরশাদের প্রতিক্রিয়া, “সমাজের কল্যাণে আমার এই সিদ্ধান্ত। আমি চাই মুসলিম সমাজ থেকে আরও অনেকে এই কাজে এগিয়ে আসুক।”
নিজের সিদ্ধান্তে অবিচল থাকার পর তাঁর কাছে হুমকি ফোন আসতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন আরশাদ। এ বিষয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হলে তারা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলেও অভিয়োগ।
আরও পড়ুন: পুঞ্চে পাক গোলায় নিহত একই পরিবারের পাঁচ জন
আরও পড়ুন: বিরোধীরা সবাই চাইলে পেপার ব্যালটে রাজি, জানাল বিজেপি
হানিফ বরকতি নামে স্থানীয় এক মুসলিম ধর্মগুরু আরশাদের বিরুদ্ধে এই ফতোয়ার অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা। তাঁর দাবি, ইসলাম ধর্ম অঙ্গদান নিয়ে কী বলে, সে প্রসঙ্গে জানতে আরশাদ তাঁর কাছে এসেছিলেন। এবং তিনি আরশাদকে জানিয়ে দেন যে ইসলাম ধর্ম অঙ্গদানে অনুমতি দেয় না। বরকতির মতে, এর পরও কেউ যদি তা মানতে রাজি না হন, তা হলে সন্দেহ জাগে সেই ব্যক্তি মুসলিম কি না!
আরশাদ অবশ্য বরকতির এ সব কথা মানতে রাজি নন। তাঁর মতে, মানুষের সেবা করাই হল সবচেয়ে বড় ধর্ম এবং কর্তব্য। যে কোনও মহত্ ধর্ম সেটাই বলে। আর সেটাই তিনি করে যেতে চান।