Ranya Rao Gold Smuggling Case

সোনাপাচার কাণ্ড: অভিনেত্রী রান্যার পুলিশকর্তা বাবাকে এ বার পাঠানো হল বাধ্যতামূলক ছুটিতে

সোনাপাচার কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন কন্নড় অভিনেত্রী রান্যা রাও। দুবাই থেকে ফেরার পথে তাঁর থেকে ১২ কেজি সোনা পাওয়া গিয়েছে। তা নিয়ে বিতর্কের মাঝেই রান্যার বাবা আইপিএস রামচন্দ্রকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হল।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫ ২১:৪৭
Share:
(বাঁ দিকে) রান্যা রাও এবং আইপিএস রামচন্দ্র রাও (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) রান্যা রাও এবং আইপিএস রামচন্দ্র রাও (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

সোনাপাচার মামলায় অভিযুক্ত কন্নড় অভিনেত্রী রান্যা রাওয়ের পুলিশকর্তা বাবাকে এ বার বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠাল কর্নাটক সরকার। রান্যার বাবা রামচন্দ্র রাও কর্নাটক পুলিশের ডিজি পদমর্যাদার আধিকারিক। তিনি কর্নাটক রাজ্য পুলিশের আবাসন এবং পরিকাঠামো উন্নয়ন নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসাবে কর্তব্যরত ছিলেন। সোনাপাচার মামলাকে কেন্দ্র করে বিতর্কের আবহে শনিবার তাঁকে বাধ্যতামলূক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

গত ৩ মার্চ বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে গ্রেফতার হন রান্যা। দুবাই থেকে ফেরার পথে তাঁর থেকে ১৪.২ কেজি সোনা বাজেয়াপ্ত হয়, যার বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় শুল্ক দফতর সংক্রান্ত গোয়েন্দা শাখা ডিরেক্টেরট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই) এই ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে। ডিআরআই আদালতে জানিয়েছে, কর্নাটক পুলিশের প্রোটোকল অফিসারকে ব্যবহার করা হয়েছে এই সোনাপাচার চক্রে। সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’ অনুসারে, প্রোটোকল অফিসার তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, রামচন্দ্রের নির্দেশ মতোই তিনি কাজ করেছেন। এই বিতর্কের মাঝেই এ এ বার ওই আইপিএস অফিসারকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হল। যদিও এই সিদ্ধান্তের জন্য নির্দিষ্ট ভাবে কোনও কারণ উল্লেখ করা হয়নি।

অভিনেত্রীর গ্রেফতারির পরে রামচন্দ্র দাবি করেছিলেন, মেয়ের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছিলেন, সোনা উদ্ধারের ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনও রকমের যোগ নেই। মাস চারেক আগে রান্যার বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তার পর থেকে মেয়ের সঙ্গে তাঁদের আর কোনও যোগাযোগ নেই। রামচন্দ্র বলেন, “মেয়ে বা তার স্বামী কী ব্যবসা করেন, সে সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না। যা ঘটেছে, তা আমাদের বড় ধাক্কা দিয়েছে। আমরা খুবই হতাশ। তবে আইন আইনের পথেই চলবে।”

Advertisement

তবে সোনাপাচারের তদন্তে বিমানবন্দরে কর্নাটক পুলিশের প্রোটোকল অফিসার হিসাবে কর্মরত কনস্টেবেল বাসবরাজের নাম উঠে আসে। তাঁকে ইতিমধ্যে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তদন্তকারীদের সন্দেহ, পাচারের কাজে বিমানবন্দরেই কর্তব্যরত কেউ রান্যাকে সহযোগিতা করেছিলেন। তার পরই এয়ারপোর্ট থানার এই কনস্টেবলের নাম প্রকাশ্যে আসে। তাঁকে জেরা করে আরও বেশ কিছু তথ্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ডিআরআই-এর হাতে এসেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement