সাংবাদিক সম্মেলনে কৃষক নেতৃত্ব। ছবি: পিটিআই।
ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে (এমএসপি) পাঁচ বছরের জন্য কৃষকদের কাছ থেকে কয়েকটি ফসল কেনার যে প্রস্তাব কেন্দ্র দিয়েছিল তা আজ কার্যত খারিজ করে দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। তাঁদের বক্তব্য, কেন্দ্রের ওই প্রস্তাব ‘নজর ঘোরানো’র চেষ্টা।
কেন্দ্রীয় সমবায় সংস্থাগুলি কৃষকদের থেকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে (এমএসপি) পাঁচ বছরের জন্য বেশ কয়েকটি ফসল কিনবে। গত কাল গভীর রাত পর্যন্ত চলা চতুর্থ দফার বৈঠকে কেন্দ্রের তরফে কৃষক সংগঠনগুলিকে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। গত কাল রাতে কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল, কৃষি ও কৃষককল্যাণ মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বৈঠকে বসেন কৃষক নেতাদের সঙ্গে। বৈঠকের পরে পীযূষ জানিয়েছেন, সরকারের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, এনসিসিএফ, নাফেডের মতো সমবায় সংস্থা কৃষকদের থেকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ডাল, ভুট্টা কেনার জন্য পাঁচ বছরের চুক্তি করতে পারে। কটন কো-অপারেশন অব ইন্ডিয়াও পাঁচ বছরের জন্য একই রকম চুক্তি করতে পারে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে তুলো কেনার জন্য।
আজ কেন্দ্রের প্রস্তাব নিয়ে বৈঠকে বসেন কৃষক নেতারা। সেখানে ওই প্রস্তাব কার্যত খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। কৃষক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ সংযুক্ত কিসান মোর্চা আজ বিকেলে ওই প্রস্তাবের তীব্র সমালোচনা করে বলেছে, কেন্দ্রকে সমস্ত (মোট ২৩টি) ফসল ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে কিনতে হবে। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহারেও সেই প্রতিশ্রুতি ছিল। আলোচনায় কেন্দ্রের তরফে স্বচ্ছতার অভাব ছিল বলেও মত কৃষক নেতাদের। তাঁরা মনে করিয়ে দিয়েছেন, গত বছর উত্তরপ্রদেশে লখিমপুরে কৃষক হত্যায় অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির বিরুদ্ধেও কেন্দ্র কোনও পদক্ষেপ করেনি। আজ পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহের বাড়ির সামনে বিকেইউ একতা উগ্রাহন নামে কৃষক সংগঠনের বিক্ষোভ চলাকালীন মৃত্যু হয় নরিন্দর পাল নামকএক কৃষকের।