সাত রাজ্যে আন্দোলনে কৃষকরা। ছবি: পিটিআই।
জাতীয় সড়কে লিটার-লিটার দুধ ফেলে প্রতিবাদ। কোথাও আবার বেগুন, পটল গড়াগড়ি খেল রাস্তায়। কৃষক আন্দোলনের এমনই সব খণ্ডচিত্রেই যেন জুড়ে গেল দেশের সাত রাজ্য।
কৃষিতে ন্যুনতম সহায়ক মূল্য এবং কৃষিঋণ মকুবের দাবিতে রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, পঞ্জাবসহ দেশের সাত রাজ্যে প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু করেছে ১৩০টি কৃযক সংগঠনের ফেডারেশন রাষ্ট্রীয় কিসান মহাসঙ্ঘ। দশ দিন ধরে চলবে তাদের আন্দোলন। যদিও এ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের দাবি, মহাসঙ্ঘকে সামনে রেখে কৃষকদের অন্যায়ভাবে ব্যবহার করছে কংগ্রেস। অন্যদিকে, কিসান মহাসঙ্ঘের অভিযোগ, বার বার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরেও তাদের দাবি পূরণ করা হচ্ছে না।শুক্রবার এরই প্রতিবাদে রাস্তায় আনাজ ঢেলে বিভিন্ন রাজ্যে আন্দোলনে নামেন কৃষকরা।
গত মার্চেই কৃষকদের আন্দোলনে নাস্তানাবুদ হয়েছিল মহারাষ্ট্রের বিজেপি সরকার। নাসিক থেকে ১৮০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে দলে দলে কৃষক হাজির হয়েছিলেন বাণিজ্য নগরী মুম্বইয়ে। সেবার কৃষকদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তাঁদের আন্দোলনের রাস্তা থেকে সরানো হয়েছিল কোনও মতে। কিন্তু এ বার কী হবে?
আরও পড়ুন: শিশু পর্নোগ্রাফি রুখতে কেন্দ্রের ঢক্কানিনাদ, পোর্টালের নামে ছেলেখেলা
আন্দোলনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘গাঁও বন্ধ’। রাষ্ট্রীয় কিসান মহাসঙ্ঘের সভাপতি শিবকুমার শর্মা জানিয়েছেন, ‘‘আগামী ১০ দিন গ্রাম থেকে ফসল কিংবা ডেয়ারিজাত পণ্য শহরে ঢুকবে না।পণ্য বিক্রি করার জন্য কৃষকরা যাবেন না শহরে।’’ এর পাশাপাশি আগামী ১০জুন সকাল ৬টা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত ৮ ঘণ্টার ভারত বন্ধের ডাক দেওয়া হয়েছে। সে দিন দোকানপাট বন্ধ রাখার জন্য বিক্রেতাদের কাছে অনুরোধও জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: টার্গেট দিল্লি! রাজধানীতে হাই অ্যালার্ট, কাশ্মীর দিয়ে ঢুকেছে জঙ্গিরা
গ্রাম থেকে আনাজপত্র যদি না ঢোকে,তা হলে সাত রাজ্যের অসংখ্য শহরকে সমস্যার মুখেপড়তে হবে। কৃষকদের আন্দোলন সামলানোর জন্য ওই রাজ্যগুলিতে কড়া পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদিও কৃষকেরা জানিয়েছেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের রাস্তা থেকে তাঁরা সরবেন না।