অলঙ্করণ: তিয়াসা দাস।
দুই শিশুর হাতে দুটি বাটি। সঙ্গে ধরা রয়েছে একটি ব্যানার। পথে পথে, দোকানে-দোকানে ঘুরে ভিক্ষা করছে তারা। সঙ্গে তাদের বাবা-মা। তারা খাবার চায় না, চায় টাকা।
ছবিটা অন্ধ্র প্রদেশের কুরনুলের মুথকুর গ্রামে। গত সাত দিন ধরে এমন ভাবেই পথে পথে ঘুরে ভিক্ষা করে চলেছেন তাঁরা।
কিন্তু, কেন এমন অবস্থা?
শিশু দুটির বাবা, বছর পঁয়ত্রিশের রাজু আদতে কৃষক। তাঁর অভিযোগ, স্থানীয় কৃষি আধিকারিক তাঁর জমির কাগজ-পত্র বেআইনি ভাবে আটকে রেখেছেন। ফেরত নিতে গেলে ঘুষ দিতে হবে। কিন্তু, ঘুষ দেওয়ার মতো টাকা নেই। আর সে জন্যই ভিক্ষার পথ বেছে নিয়েছেন।
দোকানে দোকানে ঘুরে রাজু বলছেন, ‘‘দয়া করে কিছু টাকা দিন। যাতে আমি ঘুষের টাকা তুলতে পারি। আপনারা টাকা দিলেই ঘুষের টাকা উঠবে। আমার জমি হারিয়ে ফেলেছি। দু’বছর হতে চলল। লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘পরিবারকে রক্ষা করার জন্য এমন ভাবে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি।’’
আরও পড়ুন: ‘আমরা দশ দিন সময় চেয়েছিলাম, দু’দিনে করে দিয়েছি’
রাজুর অভিযোগ, বছর কয়েক আগে তাঁর এক আত্মীয় তৎকালীন রাজস্ব আধিকারিককে ঘুষ দিয়ে হাতিয়ে নেয়। তার পর থেকেই জমির কাগজ পাওয়ার লড়াই শুরু।
কৃষকের আরও অভিযোগ, কাগজ ফেরত চাইতে গেলে বর্তমান এক রাজস্ব অফিসার জানান, জমির কাগজ জেলা শাসকের কাছে রয়েছে। তা ফেরত পেতে গেলে টাকা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: তিন কিলোমিটার অন্তর মদের ঠেক, মান্ডি কই!
যদিও রাজুর সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন কুরনুলের জেলা শাসক এস সত্যনারায়ণ। তাঁর দাবি, ‘‘পুরো মিথ্যা কথা বলেছেন রাজু।’’ উল্টে তার দাবি, যদি এমনই ঘটে থাকে তাহলে আদালতে নালিশ করুক সে।
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।)