(বাঁ দিকে) উত্তপ্ত খনৌরি সীমান্ত। হরিয়ানায় মৃত কৃষক দর্শন সিংহ। (ডান দিকে) ছবি: সংগৃহীত।
হরিয়ানা সীমান্তে আরও এক আন্দোলনকারী কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। হরিয়ানার খনৌরি সীমান্তে বৃহস্পতিবার রাতে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ওই কৃষক। পরে তাঁর মৃত্যু হয়। মাথায় আট লক্ষ টাকা ঋণের বোঝা নিয়ে তিনি আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন।
মৃত কৃষকের নাম দর্শন সিংহ (৬২)। পঞ্জাবের ভাটিন্ডার আমারগড় গ্রামের বাসিন্দা তিনি। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে দর্শন খনৌরি সীমান্তে বসেছিলেন। অন্যদের সঙ্গে তিনিও যোগ দিয়েছিলেন ‘দিল্লি চলো’ আন্দোলনে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের কিছু আগে তিনি আন্দোলনস্থলে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সংজ্ঞাও হারিয়ে ফেলেছিলেন। দ্রুত তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার কথা বলা হয়েছিল। সেই মতো তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় পটিয়ালার রাজেন্দ্র হাসপাতালে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
আমারগড় গ্রামে আট একর জমির মালিক ছিলেন এই কৃষক। তবে তাঁর মাথায় ছিল অন্তত আট লক্ষ টাকার ঋণ। আন্দোলনকারী কৃষক সংগঠনগুলি দর্শনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভও উগরে দিয়েছে। তাদের দাবি, সীমান্তে এমন আরও অনেক কৃষকের মৃত্যু হতে পারে। মৃত্যু এড়াতে তাদের দাবিদাওয়াগুলি মেনে নিক সরকার।
সাম্প্রতিক কৃষক আন্দোলনে বুধবার প্রথম মৃত্যু দেখেছিল দেশ। এই খনৌরি সীমান্তেই ২১ বছর বয়সি শুভকরণ সিংহের মৃত্যু হয়। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি চলাকালীন মাথায় আঘাত লেগেছিল তাঁর। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এর আগেও সীমান্ত এলাকায় অসুস্থতার কারণে আন্দোলনকারী কৃষকদের মৃত্যু হয়েছে।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ‘দিল্লি চলো’ ডাক দিয়েছে পঞ্জাব, হরিয়ানার বেশ কিছু কৃষক সংগঠন। নিজেদের দাবিদাওয়া কেন্দ্রের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এই আন্দোলন। দিল্লিতে প্রবেশের আগে সীমান্তে তাদের সঙ্গে পুলিশের প্রতি দিনই দফায় দফায় সংঘর্ষ হচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েক বার সরকারের সঙ্গে বৈঠকও হয়েছে আন্দোলনকারী কৃষকদের প্রতিনিধিদের।