খলিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিংহ। ফাইল চিত্র।
বৃহস্পতিবার ডিব্রুগড় কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজির হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ আনেন বন্দি খলিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিংহের কাকা-সহ পরিবারের সদস্যেরা ও আইনজীবীর দল। পঞ্জাব থেকে আসা দলটিতে অমৃতপাল-সহ ৯ জন কারাবন্দির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেই এসেছেন শিরোমণি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটির সদস্য ভগবন্ত সিংহ সিয়ালকা।
চণ্ডীগড় কারাগার থেকে দেখা করার অনুমতি মেলার পরে বৃহস্পতিবার সকালেই মোহনবাড়ি বিমানবন্দরে হাজির হন অমৃতপাল ও তাঁর সঙ্গীদের পরিবারের সদস্যেরা। অমৃতপালের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাঁরা শুক্রবার সন্ধ্যায় ফিরে যাবেন। অমৃতপালের মুক্তির জন্য আবেদন জানানো হবে উচ্চতর আদালতে। পঞ্জাবে উপ-নির্বাচনের আগে অমৃতপালকে গ্রেফতার রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র, নালিশ তাঁদের।
অমৃতপালদের আইনজীবীর বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, বন্দিদের পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কহীন করে রাখা যাবে না। কিন্তু এ ক্ষেত্রে হরিয়ানা ও পঞ্জাব থেকে বন্দিদের গ্রেফতার করে ৩০০০ কিলোমিটার দূরে এনে রাখা হয়েছে। এই মামলায় দেখা যাচ্ছে, গ্রেফতারের পরে মাত্র ২-৩ ঘণ্টায় দেড় শতাধিক পাতার বেশি রিপোর্ট তৈরি হয়ে গিয়েছে! চার ঘণ্টার মধ্যে অসম সরকারের অনুমোদনও মিলে গিয়েছে! বোঝাই যাচ্ছে, সব আগে থেকে তৈরি ছিল। মামলা সাজানোর ক্ষেত্রেও সকলের নাম বদলে বাকি সব অভিযোগ একই রাখা হয়েছে।
আইনজীবী বলেন, ‘‘আইনের অপব্যবহার নিয়ে হাই কোর্টে আবেদন জানিয়েছি আমরা। হাই কোর্টও দেখেছে, ধৃত ব্যক্তিদের কোনও পুরনো অপরাধের রেকর্ড নেই। আশা করি হাই কোর্ট মামলা খারিজ করবে এবং এনএসএ বাতিল হবে।’’ ওই আইনজীবীর বক্তব্য, পূর্বে অপরাধের অভিযোগ না থাকা শিখ প্রচারকদের এত দূরে রাখা অমানবিক।
‘ওয়ারিস পঞ্জাব দে’ সংগঠনের আইনজীবীর দাবি, সেপ্টেম্বরে সংগঠনের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে নেশার বিরুদ্ধে অভিযান ও শিখদের হয়ে প্রচার চালাচ্ছিলেন অমৃতপাল। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোনও যুদ্ধই ঘোষণা করেননি তিনি।