গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
পুলিশ সেজে নয়, তোলা আদায়ের জন্য আস্ত একটি ‘থানা’ খুলে ফেলেছিল প্রতারকেরা। গত আট মাস ধরে বিহারের বাঁকায় এমনই অভিনব কায়দায় চলছিল জালিয়াতি।
বাঁকা সদর থানা এবং পুলিশ সুপারের বাংলোর ঢিল ছোড়া দূরত্বে এমন অভিনব প্রতারণাচক্রের খোঁজ মেলায় জল্পনা তৈরি হয়েছে বিহারে। একটি বেসরকারি গেস্ট হাউসের অন্দরে ‘সমান্তরাল থানা’ চালানোর অভিযোগে বুধবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে এক মহিলা-সহ পাঁচ জনকে। যদিও চক্রের পান্ডা পালিয়ে গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
স্থানীয় সূত্রের খবর, ভয় দেখিয়ে তোলা আদায়ের পাশাপাশি, ছোটখাটো মামলার নিষ্পত্তির জন্যও টাকা নিত ওই প্রতারণাচক্র। বুধবার রাতে বাঁকা সদর থানার সাব ইনস্পেক্টর শম্ভু যাদব দেখেন সার্ভিস রিভলভারের বদলে দেশি পিস্তল নিয়ে পুলিশের উর্দি পরা এক মহিলা ও এক পুরুষ ওই গেস্ট হাউসের বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন। ঘটনার কথা থানা এবং পুলিশ সুপার সত্য প্রকাশের দফতরে জানান তিনি। এর পরেই নকল পুলিশের দফতরে হয় আসল পুলিশের অভিযান।