ভাঙনের কানাঘুষো চলছিলই বিহার প্রদেশ কংগ্রেসে। তারই মধ্যে এআইসিসি-র নামাঙ্কিত একটি চিঠিতে তুমুল উত্তাপ ছড়াল দলের অন্দরমহলে।
গত কাল রাত ৯টা নাগাদ প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের মোবাইলে ছড়ায় একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি। সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক জনার্দন দ্বিবেদীর ‘স্বাক্ষরিত’ ওই বিজ্ঞপ্তিতে লেখা ছিল— ‘দলের সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধীর পরামর্শে বিহার প্রদেশ কংগ্রেসে চার জন কার্যনির্বাহী সভাপতি নিয়োগ করা হল। তাঁরা হলেন অখিলেশ সিংহ, মদনমোহন ঝা, শাকিলউজ্জামান আনসারি এবং অশোক রাম’।
মুহূর্তে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে তা ‘ভাইরাল’ হয়। ‘দায়িত্বপ্রাপ্ত’ কংগ্রেস নেতাদের মোবাইল ভাসে অভিনন্দন-বার্তায়। পরিস্থিতি বদলায় একটু পরেই। সংবাদমাধ্যমে খবর দেখে নড়েচড়ে বসে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। নয়াদিল্লি থেকে জানানো হয়, ওই বিজ্ঞপ্তি ভুয়ো। সুর বদলে যায় প্রদেশ নেতাদের। চর্চা শুরু হয় ষড়যন্ত্র ও গোষ্ঠী কোন্দলের।
এ নিয়ে তদন্ত চেয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অশোক চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘দলের বদনাম করতেই এমন ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।’’ দলীয় মুখপাত্র তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শাকিল আহমেদ ছিলেন বিহারেই। তিনি বলেন, ‘‘দিল্লিতে ফিরেই সভানেত্রীর সঙ্গে কথা বলবো।’’ রাজ্য কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক সি পি জোশীকে ফোন করা হলেও তিনি তা ধরেননি।
মহাজোট ভেঙে যাওয়ার পরে বিহারে চাপে রয়েছে কংগ্রেস। দীর্ঘদিন পরে রাজ্যে ক্ষমতার স্বাদ পেয়েছিল দল। তা হারানোয় কিছু নেতা ক্ষুব্ধ। খবর ছড়িয়েছে, কংগ্রেস পরিষদীয় দলের ২০ জন বিধায়ক নীতীশ কুমারের দিকে ঝুঁকেছেন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অশোক চৌধুরী, পরিষদীয় দলনেতা সদানন্দ সিংহের মতো নেতাদের দিল্লিতে ডেকে কথা বলেছেন সনিয়া, রাহুল গাঁধী। বিহারে এসে বৈঠক করেছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। কংগ্রেস অন্দরমহলের খবর, বিধায়কদের বেশিরভাগই নেতৃত্বকে জানিয়েছেন, তাঁরা লালুপ্রসাদের সঙ্গ ছাড়তে চান। হাইকম্যান্ড অবশ্য তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেননি।