নকল মুদ্রা (কয়েন)। প্রতীকী ছবি।
নেপাল থেকে চোরা পথে প্রচুর পরিমাণে নকল মুদ্রা (কয়েন) ঢুকছে ভারতে। এমনই তথ্য দিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। পাচারকারীরা মূলত উত্তর ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে এই পাচারের কাজ চালাচ্ছে বলে পুলিশ এবং এনআইএ সূত্রে খবর। গোয়েন্দা সুত্রে খবর, চক্রটি গত কয়েক বছরে মোট ৫০ কোটি টাকার নকল মুদ্রা ঢুকিয়েছে।
আরও পড়ুন: চার-পাঁচ মাস ধরে যৌন নির্যাতন নাবালিকাকে, গ্রেফতার স্বঘোষিত সাধু
শুক্রবার, হরিয়ানার কুন্দলি থেকে ওই নকল মুদ্রা পাচার চক্রের মূল পাণ্ডাকে গ্রেফতার করলেন স্পেশাল সেলের অফিসারেরা। ধৃতের নাম উপকার লুথরা। তার কাছ থেকে ৫ টাকা ও ১০ টাকার প্রায় ৮,৫০০টি নকল মুদ্রা উদ্ধার করা হয়েছে।
তদন্তকারী অফিসারেরা জানিয়েছেন, গত বছর ওই সিন্ডিকেটের দুই পান্ডা পুলিশের জালে ধরা পড়ে। তাদের নাম গুলশন গম্ভীর এবং সচিন। ওই দু’জনের কাছ থেকে ৬ লক্ষ টাকারও বেশি নকল মুদ্রা উদ্ধার করা হয়। ধৃতদের জেরা করে লুথরা ও তার ভাইয়ের কথা জানতে পারেন গোয়েন্দা অফিসারেরা। তারাই মূলত ওই চক্রটিকে চালায়। গত ডিসেম্বরে ধরা পড়ে লুথরার ভাই এবং সিন্ডিকেটের দ্বিতীয় মূল পান্ডা সুইকার। তার কাছ থেকে প্রায় ১৮ হাজার টাকার নকল মুদ্রা উদ্ধার করে স্পেশাল সেল। চক্রের মূল পান্ডা লুথরার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়। উত্তর ভারতের বিভিন্ন জায়গা ছাড়াও নেপাল সীমান্তে নজরদারি শুরু করেন অফিসারেরা। লুথরার মাথার দাম এক লক্ষ টাকা রাখা হয়।
স্পেশাল সেল সূত্রে খবর, গত কয়েক বছরে ধরে উত্তর ভারতের বিভিন্ন জায়গায় মোট ৫০ কোটি টাকার নকল মুদ্রা ছড়িয়েছে লুথরা। একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনাতেও তার নাম জড়ায়। নিজের ব্যবসার অংশীদারকে খুন করার অভিযোগও রয়েছে লুথরার বিরুদ্ধে। স্পেশাল সেলের ডিসিপি সঞ্জীব যাদবের কথায়, ‘‘গত মাসে আমরা খবর পাই, লুথরা হরিয়ানার কুন্ডলিতে আস্তানা গেড়েছে এবং দিল্লি ও তার আশপাশে নতুন করে ব্যবসা শুরু করেছে।’’ গোয়েন্দা অফিসারেরা জানিয়েছেন, ১৯৯৯ এবং ২০০৯ সালে জাল নোট চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে দু’বার লুথরাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে লুথরাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তার পর থেকেই ওই সিন্ডিকেটের মূল চক্রী হয়ে ওঠে সে। নকল মুদ্রা তৈরির জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণও নিয়েছে লুথরা। জেরায় লুথরা জানিয়েছে, নকল মুদ্রা তৈরির পর রাজস্থান ও হরিয়ানার বিভিন্ন টোল প্লাজা, বাজার ও ছোট দোকানগুলিতে ওই মুদ্রা ছড়িয়ে দেয় লুথরার দল।