বাঁ দিক থেকে, জাস্টিন ট্রুডো এবং এস জয়শঙ্কর। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
কানাডা সরকারের নীতির কারণেই সে দেশে খলিস্তানপন্থী সংগঠনগুলির বাড়বাড়ন্ত হয়েছে। মঙ্গলবার এই অভিযোগ করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, ‘‘কানাডার রাজনীতি খালিস্তানিদের পরিসর দিয়েছে এবং তাদের এমন কাজে লিপ্ত হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে, যা ভারত-কানাডা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষতি করছে।’’
সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জয়শঙ্করের অভিযোগ, গত কয়েক বছরে কানাডায় বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির বাড়বাড়ন্তে অপরাধ এবং হিংসার ঘটনা ঘটেছে। এই সমস্ত অপরাধ আটকাতে ভারত সরকার অনেক তথ্য দিয়ে কানাডাকে সাহায্য করেছে, দুষ্কৃতীদের প্রত্যর্পণের দাবিও জানিয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে এই বিষয়গুলি নিয়ে মাথা ঘামায়নি কানাডার প্রশাসন। সেখানে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিংসার সহায়ক পরিবেশ রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন বিদেশমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে কানাডার ভারতীয় দূতাবাসে খলিস্তানপন্থীদের বিক্ষোভ এবং হামলার ঘটনার প্রসঙ্গের উল্লেখ করেন তিনি।
গত সেপ্টেম্বরে খলিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিংহ নিজ্জরের খুনের জন্য কানাডার পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে ভারতকে নিশানা করেছিলেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। কিন্তু দু’সপ্তাহের মাথাতেই সুর নরম করে ট্রুডো জানান বিষয়টি নিয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে সংঘাতের পথে হাঁটতে চান না তিনি। কিন্তু বিদেশ মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, নয়াদিল্লির চাপ সত্ত্বেও ট্রুডোর পক্ষে খলিস্তানপন্থীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা কঠিন, কারণ, ট্রুডো একটি সংখ্যালঘু সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যে সরকার টিকিয়ে রাখার জন্য তাঁকে সমর্থন নিতে হচ্ছে নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা জগমীত সিংহের। জগমীত নিজে ঘোষিত খলিস্তানপন্থী। গত অক্টোবরে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় বক্তৃতাতে জয়শঙ্কর সেই পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে কানাডায় খলিস্তানপন্থীদের দৌরাত্ম্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।