বিস্ফোরণস্থলে পুলিশ। ছবি: পিটিআই।
ফের রেল লাইনে বিস্ফোরণ। এ বার বিহারে। ঘটনাস্থল বরুণা এবং বক্সার স্টেশনের মাঝখানে। রেল পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, আজ দুপুর ১২টা ৫ নাগাদ বিস্ফোরণ হয়। তেমন বড় কোনও ক্ষতি না হলেও বিষয়টি নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন রেল মন্ত্রক। গোটা ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। তবে প্রাথমিক তদন্তে হাতে এসেছে নাশকতার তত্ত্বই।
রেল দফতর সূত্রের খবর, পূর্ব-মধ্য রেলের দানাপুর শাখার বরুণা ও বক্সার স্টেশনের মাঝখানে ডাউন লাইনে এ দিন হঠাৎই বিস্ফোরণ হয়। ঘটনাস্থল বক্সার স্টেশন থেকে ২ কিলোমিটার দূরে। কিছু ক্ষণ পরই ওই লাইন দিয়ে যাওয়ার কথা ছিল ১৩১৩৪ ডাউন বারাণসী-শিয়ালদহ আপার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের। বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়ে ট্রেনের গার্ড বিষয়টি চালককে জানান। আপৎকালীন ব্রেক কষে ট্রেন থামানো হয়। বিস্ফোরণের কয়েক মুহূর্ত আগে ওই জায়গাতেই আপ লাইন দিয়ে গিয়েছিল যোগবাণী এক্সপ্রেস। ট্রেনটিকে বরুণা স্টেশনে দাঁড় করানো হয়।
রেল পুলিশ জানিয়েছে, অন্তত ঘণ্টাতিনেক দু’টি লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। দুপুর ২টোর পর পরিষেবা স্বাভাবিক হয়। দানাপুরের রেল পুলিশ সুপার জিতেন্দ্র মিশ্র জানিয়েছেন, ‘‘অল্প ক্ষমতার বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল। তার জন্যই লাইনে বেশি রকমের কোনও ক্ষতি হয়নি। তবে বড়সড় বিস্ফোরণের ছক ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।’’ তিনি জানান, বিস্ফোরণের পর গ্রামবাসীরা কয়েক জনকে ঘটনাস্থল থেকে পালাতে দেখেছেন ।
সম্প্রতি বিহারের মোতিহারি থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করে বিহার পুলিশ। ঘোড়াসহন স্টেশনের কাছে রেল লাইনে বিস্ফোরক রাখার ঘটনায় ধৃতদের যোগ রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। গত শনিবার তাদের ১১ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। ধৃতরা জেরায় জানিয়েছিল, দুবাই থেকে আইএসআই এজেন্টের নির্দেশেই রেল লাইনে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল তারা। কানপুরে দু’টি রেল দুর্ঘটনায় জড়িত থাকার কথাও জানিয়েছিল। গত কাল উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে রেল লাইনে বিস্ফোরক উদ্ধার করে পুলিশ।
এ দিনের ঘটনার পর পূর্ব মধ্য রেলের মুখপাত্র অরবিন্দকুমার রজক বলেন, ‘‘বিহারে রেল লাইনগুলির নিরাপত্তার বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিজির সঙ্গে কথা হয়েছে।’’