টুইটারের এই মানচিত্র ঘিরেই বিতর্ক। ফাইল চিত্র।
শুধু টুইটার নয়। অনেক নেটমাধ্যমেই ছড়িয়ে রয়েছে ভারতের বিকৃত মানচিত্র। তাই এ ক্ষেত্রে টুইটারের বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের পদক্ষেপকে তাই ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বলেই মনে করছেন নেটাগরিকদের অনেকেই। মানচিত্র বিশেষজ্ঞদের একাংশও তাতে সায় দিয়েছেন।
সাইবার বিশেষজ্ঞ দীনেশ বারেজা ভারতের বিকৃত মানচিত্র প্রকাশের অভিযোগে এ পর্যন্ত ১৪টি মামলা করেছেন। এ বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে পদক্ষেপের আবেদন জানানো হয়েছে ওই মামলাগুলিতে। তিনি জানান, নেটমাধ্যমে এমন ঘটনা ঘটলে দেশের কোনও অঙ্গরাজ্যের পুলিশের পদক্ষেপ করার কথা নয়। কারণ, বিষয়টি সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (জরিপ বিভাগ) এবং আন্তর্জাতিক সীমান্ত বিষয়ক কেন্দ্রীয় দফতরের বিবেচ্য।
দীনেশ বলেন, ‘‘এর আগে সরকারি প্রকাশনা এবং কর্মসূচিতেও বিকৃত মানচিত্র ব্যবহারের নজির রয়েছে। এমনকি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফেও বিকৃত মানচিত্র প্রকাশের ঘটনা ঘটেছে। এটি মামুলি বিষয় নয়। আমাদের সেনারা সীমান্ত রক্ষার জন্য প্রাণ দেন। এমন বিষয়ে দোষীদের শাস্তির জন্য কেন্দ্রের বিশেষ আইন প্রণয়ন করা উচিত।’’
একই দাবি করেছে সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ তথা মানচিত্র বিকৃতি সংক্রান্ত নজরদারি সংস্থা ‘ম্যাপ অফ ইন্ডিয়া ডিসফিগারড’-এর সদস্য রীতেশ ভাটিয়া। প্রকাশিত রিপোর্ট জানাচ্ছে, মঙ্গলবার মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারের ভারত শাখার প্রধান মণীশ মাহেশ্বরীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৫(২) এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৭৪ নম্বর ধারা টুইটারের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা হয়েছে। আনা হয়েছে, শত্রুতা, ঘৃণা, বা অসদাচরণ তৈরি ও প্রচারের পাশাপাশি ডিজিটাল প্রতারণার অভিযোগ। যা এক্ষেত্রে যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন তিনি। পাশাপাশি, অতীতে এমন ঘটনায় অভিযুক্তদেরও শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন রীতেশ।
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখকে ভারতীয় ভূখণ্ডের বাইরে দেখানোর অভিযোগে মঙ্গলবার টুইটার-কর্তা মাহেশ্বরীর বিরুদ্ধে মঙ্গলবার এফআইআর দায়ের করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। বুলন্দশহর থানায় এক বজরং দলের নেতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে দায়ের হয় এই এফআইআর। অভিযোগ, টুইটারের ‘টুইপ লাইফ’ বিভাগে ভারতের যে মানচিত্র প্রকাশিত হয়েছে, তাতেই রয়েছে এই বিকৃতি।