সীমান্তে সজাগ এসএসবি-র মহিলা বাহিনী। ফাইল চিত্র।
পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারির দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএসএফ বাহিনীর কর্মক্ষেত্রের পরিধি এবং ক্ষমতা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু নেপাল এবং ভুটান সীমান্ত পাহারায় নিযুক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী ‘সশস্ত্র সীমা বল’ (এসএসবি)-র ক্ষেত্রে এখনও বহাল রয়েছে পুরনো নীতিই। ফলে উঠেছে প্রশ্ন।
আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডের অন্দরে বিএসএফ বাহিনীর তল্লাশি অভিযান চালানো এবং গ্রেফতারের অধিকার ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করেছে কেন্দ্র। কিন্তু এসএসবি-র এক্তিয়ার এখনও ১৫ কিলোমিটারেই সীমাবদ্ধ। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, জঙ্গল এবং পাহাড় ঘেরা নেপাল, ভুটান সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত বাহিনীর কর্মক্ষেত্রেও বাড়ানো প্রয়োজন।
পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ সীমান্তের বড় অংশেই কাঁটাতারের বেড়া রয়েছে। কিন্তু নেপাল ও ভুটান সীমান্তে তেমন ব্যবস্থা নেই। ফলে উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম, অসম, অরুণাচল প্রদেশে মোতায়েন এসএসবি কর্মীদের কাজ এমনিতেই কঠিন। সাম্প্রতিক কালে নেপাল ও ভুটান সীমান্তে চোরাচালানকারীদের সক্রিয়তার বেশ কিছু খবর প্রকাশিত হয়েছে। পাশাপাশি, সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় এলাকায় নেপালি গ্রামবাসীদের হামলা এমনকি, নেপালের সীমান্ত পুলিশের গুলিতে ভারতীয় কৃষকের মৃত্যুর ঘটনার নজিরও রয়েছে।
উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং অসমের সীমান্ত এলাকায় একাংশ ঘন জঙ্গল। যেমন উত্তরপ্রদেশের দুধওয়া ব্র্যাঘ্র প্রকল্প সন্নিহিত নেপাল সীমান্ত বা অসমের মানস জতীয় উদ্যান ঘেঁষা ভুটান সীমান্ত। এসএসবি-র স্পেশাল ডিজি জ্যোতির্ময় চক্রবর্তীর মতে, এমন এলাকায় সীমান্ত থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরবর্তী এলাকাগুলিও জঙ্গল। ফলে জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলিতে অনুপ্রবেশকারী বা চোরাশিকারিদের সন্ধানে তল্লাশি চালানো সম্ভব হয় না অনেক ক্ষেত্রেই। এ ক্ষেত্রে তাই বাহিনীর কর্মক্ষেত্রের এলাকা বাড়ানো প্রয়োজন।