উত্তরপ্রদেশে সব শহরেই বিজেপি, বলছে বুথ ফেরত সমীক্ষা

রাজ্যের বাকি ১৫টি বড় শহরেই পুর-প্রশাসনের দখল পাচ্ছে বিজেপি। কংগ্রেসের খাতা খোলার আশা দেখা যাচ্ছে না।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

লখনউ শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০১৭ ০৪:১২
Share:

লাইন: তৃতীয় দফার ভোট। বুধবার মির্জাপুরে। ছবি: পিটিআই।

খুশিতে ডগমগ বিজেপির নেতারা। গুজরাত নির্বাচনের আগে সুখবর দিল যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশ। তিন দফায় ১৬টি নগর নিগমের ভোট হল এ রাজ্যে। আজ শেষ দফার ভোট-পর্ব মিটতেই এবিপি-নিউজের বুথ ফেরত সমীক্ষায় সম্ভাব্য যে ফল বেরিয়ে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে একমাত্র ফিরোজাবাদে মেয়র হতে চলেছেন সমাজবাদী পার্টি থেকে। রাজ্যের বাকি ১৫টি বড় শহরেই পুর-প্রশাসনের দখল পাচ্ছে বিজেপি। কংগ্রেসের খাতা খোলার আশা দেখা যাচ্ছে না। এই পুর নির্বাচনের ফল বেরোবে ১ ডিসেম্বর। সমীক্ষার সঙ্গে তা মিলে গেলে গুজরাতে ভোট-প্রচারের শেষ পর্বে কংগ্রেসকে কোণঠাসা করতে বিজেপি আরও উৎসাহ নিয়ে ঝাঁপাবে।

Advertisement

রইল উত্তরপ্রদেশের প্রশ্ন। বিধানসভা ভোটে বিজেপির কাছে ধুয়ে যাওয়ার পরে অখিলেশ যাদব জমি ফেরানোর চেষ্টায় নেমেছিলেন এই ভোটকে ঘিরে। সমীক্ষার ফল সত্য প্রমাণিত হলে বলা যাবে, অখিলেশের সেই চেষ্টায় জল ঢেলে দিতে পেরেছে আদিত্যনাথের বাহিনী।

রাজধানী লখনউয়ে মেয়র পদটি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। এখানে বিজেপি ৪০% ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা। দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও সমাজবাদী পার্টি অনেকটাই পিছিয়ে। পেতে পারে ২৭% ভোট। তিন নম্বরে মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি ১৩%। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসীতে ৪৫% ভোট পেয়ে মেয়র হতে পারেন বিজেপির মৃদুলা জায়সবাল। মুখ্যমন্ত্রী যোগীর কর্মভূমি গোরক্ষপুরে বিজেপি পেতে পারে ৪৬% ভোট। যোগী এই নির্বাচনের প্রচার শুরু করেছিলেন অযোধ্যা থেকে। সেখানে দলের ভোট পাওয়ার আশা আরও ২ শতাংশ বেশি। কানপুর, ইলাহাবাদেও সমাজবাদী পার্টি ও কংগ্রেসের চেয়ে ঢের এগিয়ে মোদীর দল। বরেলী, আগরাও পেতে চলেছে বিজেপি।

Advertisement

আরও পড়ুন: রাহুলের ধর্মও অস্ত্র বিজেপির

২০১২ সালে মার্চে উত্তরপ্রদেশের তখ্ত পান অখিলেশ। এর মাস চারেক পরে নির্বাচন হয়েছিল ১৪টি শহরে। সে বার ১২টি নগর নিগমের দখল পেয়েছিল বিজেপি। কেন্দ্রে কংগ্রেস, রাজ্যে সমাজবাদী— এই পরিস্থিতিতে সেটা ছিল বিজেপির কাছে এক বড় জয়। উত্তরপ্রদেশের সমর্থনের ভিতে এর পরে মোদীর দিল্লি জয় ও যোগী-রাজেরও শুরু। যোগীর আমলে নগর মিগমের মর্যাদা পেয়েছে অযোধ্যা এবং হেমা মালিনীর নির্বাচনী এলাকা বৃন্দাবন-মথুরা। বুথ-ফেরত সমীক্ষা বলছে, দু’টিরই প্রথম মেয়র হতে চলেছেন বিজেপি থেকেই। মথুরা, গাজিয়াবাদে ৫০% ভোট যাওয়ার সম্ভাবনা বিজেপির ঝুলিতে। দলের নেতারা মনে করছেন, কেন্দ্রে সরকার গড়ার প্রশ্নে সব সময়েই নির্ণায়ক ভূমিকা নিয়ে থাকে উত্তরপ্রদেশ। মোদীর দিল্লি দখলেও তা ফের প্রমাণিত হয়েছে ২০১৪-তে।
রাজ্যের সব বড় শহরে সমর্থনের এই ভিত ২০১৯-এর জন্যেও ভরসা জোগাবে মোদীকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement