চার অপরাধীর ১ ফেব্রুয়ারি ফাঁসি হওয়ার সম্ভাবনা কম। —ফাইল চিত্র।
সুপ্রিম কোর্ট এ বার নির্ভয়া-কাণ্ডে আর এক ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত অক্ষয়কুমার সিংহের মৃত্যুদণ্ডের রায় সংশোধনের আর্জিও খারিজ করে দিল। কিন্তু তার পরেও ১ ফেব্রুয়ারি ভোর ৬টায় নির্ভয়া-কাণ্ডের চার অপরাধীর ফাঁসি পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
আজ দিল্লির পাটিয়ালা হাউস আদালতে ওই ফাঁসি স্থগিত রাখার আর্জি জানানো হয়েছে। অপরাধীদের আইনজীবীর যুক্তি, ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত বিনয় শর্মার প্রাণভিক্ষার আবেদন নিয়ে রাষ্ট্রপতি এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেননি। অক্ষয় কুমার সিংহ ও পবন গুপ্তও তাদের সামনে আইনত যে সব সুযোগ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে ইচ্ছুক। এই আর্জি শোনার পরে দিল্লির অতিরিক্ত দায়রা বিচারক অজয় কুমার জৈন তিহাড় জেলের সুপারের কাছে সাজাপ্রাপ্তদের বিষয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন। চার অপরাধীর আইনজীবী এ পি সিংহ বলেন, একমাত্র মুকেশ সিংহের কাছেই সমস্ত রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অক্ষয়কুমার সিংহ বুধবারই সুপ্রিম কোর্টে কিউরেটিভ পিটিশন দায়ের করেছিল। আজ বিচারপতি এন ভি রমন্নার নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ তা খারিজ করে দিয়ে বলেছে, এ ক্ষেত্রে রায় সংশোধনের কোনও মামলা দাঁড়ায় না। তাই সুপ্রিম কোর্ট ফাঁসি স্থগিত রাখার আর্জিও খারিজ করে দিয়েছে। আদালতের রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলেও অক্ষয়ের সামনে এখনও রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানানোর সুযোগ রয়েছে। বিনয় শর্মার প্রাণভিক্ষার আবেদন এখনও রাষ্ট্রপতির টেবিলে। পবন গুপ্ত এখনও সাজার রায় সংশোধনের আর্জি বা কিউরেটিভ পিটিশন দায়েরই করেনি। তাই ফাঁসি বা মৃত্যুদণ্ডের পরোয়ানা অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হোক বলে সওয়াল করেন দণ্ডিতদের আইনজীবী।
সরকারি আইনজীবী ইরফান আহমেদ এর প্রবল বিরোধিতা করে বলেন, গত ডিসেম্বরে অপরাধীদের সাত দিনের নোটিস দেওয়া হয়েছিল, যাতে তার মধ্যেই তারা সমস্ত আইনি পথে সুরাহা মেলার চেষ্টা সেরে ফেলে। তার ৪০-৪২ দিন পরে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানানো বিচারব্যবস্থার সঙ্গে রসিকতা করা। অতিরিক্ত দায়রা বিচারক তিহাড় জেলের সুপারকে কাল সকাল ১০টার মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলেন। এর আগে ২২ জানুয়ারি মুকেশ-অক্ষয়-পবন-বিনয়ের ফাঁসির নির্দেশ জারি হয়েছিল। পরে তা পিছিয়ে ১ ফেব্রুয়ারি হয়। ফের তা পিছনোর সম্ভাবনা জোরালো হলেও আজ নিয়ম মতো তিহাড় জেলে এসে হাজির হয়ে গিয়েছেন মেরঠের ফাঁসুড়ে পবন জল্লাদ। তিহাড়ে কোনও ফাঁসুড়ে না থাকায় পবনকে মেরঠ থেকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল।