প্রাক্তন মন্ত্রী পিস্তল নিয়ে সোজা উঠে পড়েছেন জলের ট্যাঙ্কে। ছবি সংগৃহীত
নাতনিকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছিলেন তাঁর পুত্রবধূ। সেই অভিযোগ মেনে নিতে পারেননি উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজেন্দ্র বহুগুণা। পুলিশকে ডেকে বুকে গুলি করে নাটকীয় ভাবে আত্মহত্যা করলেন তিনি।
নাতনির শ্লীলতাহানির অভিযোগে প্রাক্তন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন তাঁর পুত্রবধূ। তার ঠিক তিনদিন পর আত্মহত্যা করলেন রাজেন্দ্র।
বুধবার রাজেন্দ্র প্রথমে জরুরি নম্বরে ফোন করে পুলিশকে তাঁর আত্মহত্যার পরিকল্পনার কথা জানান। এর পর নিজের পিস্তল নিয়ে বাড়ির ছাদে উঠে যান। তত ক্ষণে পুলিশ বাড়িতে এসে গিয়েছে। বাড়িতে হাজির হয়েছেন তাঁর প্রতিবেশীরাও।
সবাই চিৎকার করছেন তাঁকে থামানোর জন্য। কিন্তু তিনি সেই পিস্তল নিয়ে সোজা উঠে পড়েছেন জলের ট্যাঙ্কে এবং চিৎকার করে বলছেন কেন তিনি দোষী নন। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।
পুলিশও লাউডস্পিকার মাধ্যমে তাঁকে বিরত করার চেষ্টা করে। কিন্তু তা না শুনে চিৎকার করে রাজেন্দ্র বলতে থাকেন, ‘‘আমি নির্দোষ, আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে।’’ একবার মনে হচ্ছিল তিনি ট্যাঙ্ক থেকে নেমে পড়বেন। তার পর হঠাৎ তিনি বুকে গুলি করেন। ঘটনাস্থলেই মারা যান রাজেন্দ্র।
ছেলে অজয় বহুগুণার অভিযোগের ভিত্তিতে রাজেন্দ্রর পুত্রবধূ, তাঁর বাবা এবং এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা হয়েছে।