কিশোরী ধর্ষণে ধৃত প্রাক্তন পুলিশ

গত কাল সন্ধ্যায় নির্যাতিতা পুলিশকে জানায়, পুরীর নিমাপাড়া থেকে জিতেন্দ্র ও আরও তিন জন তাকে অপহরণ করে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ভুবনেশ্বর শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:১২
Share:

প্রতীকী ছবি।

নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোগে এ বার পুরীতে গ্রেফতার হল এক প্রাক্তন পুলিশকর্মী। অভিযোগ, গত কাল পুলিশ রিজার্ভ লাইনে নিজের বাড়িতে ডেকে তিন বন্ধুকে নিয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে প্রাক্তন কনস্টেবল জিতেন্দ্র শেট্টি। পুলিশ জানিয়েছে, শৃঙ্খলাভঙ্গ, খারাপ ব্যবহার ও অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকায় তিন বছর আগে বরখাস্ত করা হয়েছিল জিতেন্দ্রকে।

Advertisement

গত কাল সন্ধ্যায় নির্যাতিতা পুলিশকে জানায়, পুরীর নিমাপাড়া থেকে জিতেন্দ্র ও আরও তিন জন তাকে অপহরণ করে। ওই কিশোরী বর্ণনায়, ‘‘সোমবার ভুবনেশ্বর থেকে কাকাতপুর ফিরছিলাম। নিমাপাড়ায় বাস থেকে নামি অন্য একটি বাস ধরে কাকাতপুর যাওয়ার জন্য। সেই সময়ে অভিযুক্তেরা গাড়ি দাঁড় করিয়ে লিফ্‌ট দিতে চায়। তাদের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলে ওরা জোর করে টেনে গাড়িতে তুলে পুরী শহরে নিয়ে যায়।’’

নাবালিকার অভিযোগ, জিতেন্দ্রের বাড়িতেই তাকে ধর্ষণ করে ওই প্রাক্তন কনস্টেবল ও তার তিন বন্ধু। আরও দু’জন বাইরে থেকে দরজা তালাবন্ধ করে দেয়। কোনও মতে তাদের হাত ছাড়িয়ে থানায় পৌঁছয় সে। আশিস সিংহ নামে এক পুলিশকর্তার কথায়, ‘‘নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা করেছি। ওই প্রাক্তন কনস্টেবলকে আটক করে জেরা করা হচ্ছে। বাকি তিন অভিযুক্তকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’’ জিতেন্দ্রর স্ত্রীও কনস্টেবল। যে সরকারি আবাসনে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়, সেটি তার স্ত্রীর নামেই।

Advertisement

ওড়িশারই ময়ূরভঞ্জ জেলায় ৩০ নভেম্বর পদার্থবিদ্যার এক শিক্ষিকার আত্মহত্যার ঘটনা সামনে এসেছে। অভিযোগ, ডিসেম্বরের শুরুতে বৌদির ভাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করেন শিক্ষিকা। এক মাস কেটে গেলেও অভিযুক্ত সৌম্যরঞ্জন সাহুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। শিক্ষিকার বাবার দাবি, ক্ষোভে শনিবার হস্টেলের ঘরে গলায় দড়ি গিয়ে আত্মহত্যা করেন তাঁর মেয়ে।

আরও পড়ুন: হাত কেটে রক্ত বার করে পোস্টারে প্রতিবাদ অসম বিধায়কের

উত্তরপ্রদেশের আজমগড় থেকে আজ এক ‘বিকৃতকাম’ ব্যক্তিকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। ২৪ নভেম্বর মুবারকপুর এলাকায় নিজেদের বাড়িতে খুন হয় এক দম্পতি ও তাঁদের শিশুপুত্র। আহত অবস্থায় উদ্ধার হয় তাঁদের এক মেয়ে। ঘটনার তদন্তে নেমে গত কাল নাসিরুদ্দিন নামে ৩৮ বছরের এক তরুণকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় সে স্বীকার করেছে, ৩০ বছরের ওই মহিলা, তাঁর স্বামী ও তাঁদের চার মাসের সন্তানকে সে-ই খুন করেছে ও খুনের পরে মহিলার মৃতদেহের সঙ্গে যৌন সংসর্গ করেছে। এর পরে ওই মহিলার ১০ বছরের মেয়েকেও ধর্ষণ করে নাসিরুদ্দিন। পুলিশ জানায়, মৃতদেহের সঙ্গে ৩ ঘণ্টা ধরে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত ছিল নাসিরুদ্দিন। ওই ঘটনার ভিডিয়োও করে সে। অভিযুক্ত এ-ও জানায়, খুন করার জন্য সে ভারী পাথর বা ছুরি ব্যবহার করত। হরিয়ানা, দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গেও একই অপরাধ করে সে।

উত্তরপ্রদেশেরই শোনভদ্রে গত কাল ৭০ বছরের এক বৃদ্ধাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হয় ২৭ বছরের এক যুবক। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে রবিবার ওই বৃদ্ধাকে ধর্ষণ করে পেশায় কাঠমিস্ত্রী ওই অভিযুক্ত। হায়দরাবাদের মতো বিহারের বাক্সার জেলার ইতাধি থানা এলাকার এক তরুণীর দগ্ধ দেহ উদ্ধারের পরে ধর্ষণের অভিযোগ সামনে এল। পুলিশ জানায়, ধর্ষণের পরে গুলি করে খুন করা হয় তরুণীকে। এর পর দেহটি পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করে অভিযুক্তেরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement