‘গডম্যান’ আসারামের পা ছুঁচ্ছেন ভার্গব। শনিবার জোধপুর আদালতে।
যাঁর বিরুদ্ধে গত ৪ বছর ধরে চলছে নাবালিকাকে ধর্ষণের মামলা, জেল থেকে যাঁকে নিয়মিত হাজিরা দিতে হচ্ছে আদালতে, অবসর নেওয়া এক প্রধান বিচারপতির কাছে তিনি এখনও ‘গডম্যান’!
সকলের সামনে সেই স্বঘোষিত ‘গডম্যান’ আসারামের পায়ে মাথা ছোঁয়ালেন সিকিম হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুন্দর নাথ ভার্গব। শনিবার। রাজস্থানের জোধপুর আদালতে আসারামের ঢোকার সময়। ভার্গবকে আসারামের পায়ে পড়তে দেখে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দুই নিরাপত্তারক্ষীও ‘ঢিপ’ করে প্রণাম ঠুকে দেন ‘গডম্যান’কে।
আরও পড়ুন- গুজরাতে ভাল ফল হবে না, বিজেপি সাংসদের মন্তব্য ঘিরে জল্পনা
আরও পড়ুন- ‘হিন্দু মানে ত্রাস নয়, বিশ্বাসটা ফিরিয়ে দিয়েছিল কলকাতা’
শনিবার সকালে জেল থেকে পুলিশের গাড়িতে চাপিয়ে আসারামকে নিয়ে আসা হয় জোধপুর আদালতে। শুনানিতে হাজিরার জন্য। পুলিশের গাড়ি থেকে নামতেই সকলকে চমকে দিয়ে আসারামের পায়ে পড়ে যান ভার্গব। তা দেখে হকচকিয়ে যান আসারামের সঙ্গে থাকা পুলিশকর্মীরাও।
পরে তিনি বলেন, ‘‘আমি একটা পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলাম জোধপুরে। এসে শুনলাম, আজ আসারাম কোর্টে আসবেন হাজিরা দিতে। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসি ওঁর দর্শনে।’’
নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে গত ৪ বছর ধরে জেলে থাকতে থাকতে আর কোর্টে হাজিরা দিতে দিতে জেরবার স্বঘোষিত ‘গডম্যান’ আসারাম এই অপ্রত্যাশিত ‘সম্মান’ পেয়ে রীতিমতো আপ্লুত হয়ে যান।
শুনানির পর কোর্ট থেকে আবার জেলে ফিরে যাওয়ার পথে পুলিশের গাড়িতে ওঠার আগে ‘গডম্যান’ বলেন, ‘‘বিচারপতি ভার্গব আমার পুরনো ভক্তদের এক জন। উনি আমাকে অনেক দিন ধরে চেনেন, জানেন। উনি আমার দর্শন চেয়েছিলেন। তাই এসেছিলেন এখানে। বিচারপতি মহলে আমার ভাল চেনাজানা আছে। তাই আমার মামলার পরিণতি ভালই হবে।’’
‘প্রেতাত্মার হাত’ থেকে বাঁচাতে গিয়ে ১৬ বছরের এক শিষ্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে আসারামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই বছরেরই ডিসেম্বরে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হন আসারাম-পুত্র নারায়ণ সাই।