প্রতীকী ছবি।
গাইন্দি খাতা। উত্তরাখণ্ডের ছোট একটা গ্রাম। কমবেশী ৮০০ পরিবারের বাস। মূলত বন গুজ্জররাই এখানে থাকেন। এই গ্রামের প্রতিটি ঘরের প্রত্যেক সদস্য একই দিনে জন্মেছেন— ১ জানুয়ারি। অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে? হওয়ারই কথা। কিন্তু সরকারি তথ্য যে এটাই বলছে! সৌজন্যে আধার কার্ড।
আরও পড়ুন: জোটে থাকতে চান কি না সিদ্ধান্ত নিন, উদ্ধবকে কঠোর বার্তা ফডণবীসের
মহম্মদ খান, ওই গ্রামেরই বাসিন্দা। দেখা গিয়েছে, আধার কার্ডে তাঁর জন্ম তারিখ ১ জানুয়ারি। শুধু মহম্মদই নন, তাঁর পরিবারের বাচ্চা থেকে বুড়ো সবার জন্মতারিখই এক। মহম্মদের পাশের বাড়ি, তাঁর পাশের বাড়ি— এ ভাবে গোটা গ্রাম যেন পাল্লা দিয়ে একই দিনে জন্মগ্রহণ করেছেন!
শুধু তাই নয়, বয়সের ক্ষেত্রেও বিস্তর ভুল ধরা পড়েছে। যাঁর বয়স ৫০, আধার কার্ডে তাঁর বয়স দেখানো হয়েছে ১৫। আবার যাঁর বয়স ১০, তাকে দেখানো হয়েছে ৩০ বছর।
গ্রামবাসীরা প্রশ্ন তুলেছেন, ভোটার ও রেশন কার্ড দেওয়া সত্ত্বেও কী ভাবে এই ভুল হল? তাঁরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, সবার জন্মতারিখ এক হওয়ার ফলে সরকারের বিভিন্ন পরিষেবার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা নিয়ে দর কষাকষির পথে মায়ানমার
দায় কার, এ নিয়েই ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে চাপানউতোর। ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অব ইন্ডিয়া-র কর্তারা অবশ্য এই ভুলের বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন।
উত্তরাখণ্ডের গাইন্দি খাতা প্রথম নয়, এর আগেও আগরার তিনটে গ্রামেও একই ঘটনা ঘটেছে। সে বারেও বিস্তর অভিযোগ জমা পড়েছিল এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে।
আধার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সরকার আধার তৈরির কাজও করছে। কিন্তু আধার তৈরির হওয়ার পর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাতে ভুল ভ্রান্তির অভিযোগ উঠছে। বয়স, ঠিকানা, নাম থেকে শুরু করে আইডেন্টিফিকেশন নম্বর পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই ভুল ধরা পড়ছে। যেমন কয়েক দিন আগেই প্রকাশ্যে আসে মহারাষ্ট্রে একশোরও বেশি কৃষকের আধার নম্বর এক।