সমস্বর: গৌরী-খুনের প্রতিবাদে সামিল গোটা দেশ। মুম্বইয়ে পথে নামল বলিউড। ছবি: পিটিআই।
সপ্তাহের একটা পুরোদস্তুর কাজের দিনে বেঙ্গালুরুর টাউন হলে অজস্র মানুষের ভিড়। সেখানে উপস্থিত ৯৯ বছরের স্বাধীনতা সংগ্রামী এইচ এস ডোরেস্বামী। গৌরী লঙ্কেশের হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ঝরে পড়ছে এই প্রতিবাদসভায়। বেঙ্গালুরু প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকেরা তত ক্ষণে মিছিল করে চলে গিয়েছেন সচিবালয়ে। জমা দেন স্মারকলিপি।
ভরসন্ধেয় মুম্বইয়ের বান্দ্রা কার্টার রোড থেকে মিছিল এগোচ্ছে ছ’সাতশো মানুষের। হাতে হাতে ব্যানার। গীতিকার-চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতারের টুইট, ‘‘দাভোলকর, পানসারে, কলবুর্গী আর এখন গৌরী। এক ধরনের মানুষেরাই খুন হলে প্রশ্ন ওঠে, কোন ধরনের লোকেরা তাঁদের মারছে?’’ শাবানা আজমি, সোনম কপূর, দিয়া মির্জা, জাভেদ জাফরিরাও টুইটারে লিখে ফেলেছেন ক্ষোভ-উদ্বেগের কথা।
দিল্লির জমায়েত ইন্ডিয়া গেটের সামনে। ছবি: এএফপি।
ইন্ডিয়ান রাইটার্স ফোরাম আরও চাঁছাছোলা। তাদের বিবৃতি বলছে, ‘সেই ভারতকে ভেঙে ফেলা হচ্ছে, যেখানে প্রত্যেক নাগরিকের মুখ খোলার অধিকার রয়েছে।’ গৌরীর প্রাক্তন স্বামী, সাংবাদিক চিদানন্দ রাজগাট্টা ফেসবুকে লিখেছেন, ‘কাজ চলবে।’ দিল্লিতে প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়ায় জড়ো হওয়ায় সাংবাদিক, সমাজকর্মী, রাজনীতিবিদদের অনেকেই একটা বিষয়ে একমত। সেটা হল, ‘ঘৃণা’ এবং ‘সকলকে নিয়ে চলা’— এই দু’টো মতের লড়াইয়ে সাম্প্রতিকতম শহিদের নাম গৌরী লঙ্কেশ। আজ সমালোচিত হয়েছে কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারও। নিহত সিপিআই নেতা গোবিন্দ পানসারের মেয়ে মেঘা অভিযোগ করেন, বম্বে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপের আগে তাঁর বাবার হত্যার তদন্ত গতি পায়নি। উদ্বেগ জানিয়েছেন এডিএমকে (আম্মা)-র নেতা টিটিভি দিনকরণও।