প্রতীকী ছবি।
টাক ধার করে আইপিএলে বেটিং করেছিলেন এক সরকারি ইঞ্জিনিয়ার। ধার করতে করতে সেই টাকার পরিমাণ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। তার পরেও আরও টাকা করেন। জেতার আশায় বেটিংও চালিয়ে যান। দেড় কোটি টাকা ধার হওয়া যাওয়ায় পাওনাদাররা বাড়িতে এসে সেই টাকা আদায়ের জন্য চাপ দেওয়া শুরু করেন। শুধু তাই-ই নয়, ইঞ্জিনিয়ারকে বাড়িতে না পেয়ে তাঁর স্ত্রীকে হেনস্থাও করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আর সেই অভিযোগ তুলে আত্মঘাতী হলেন ইঞ্জিনিয়ারের স্ত্রী। ঘটনাটি বেঙ্গালুরুর।
পুলিশ সূত্রে খবর, ইঞ্জিনিয়ারের নাম দর্শন বালু। তাঁর স্ত্রী রঞ্জিতার দেহ উদ্ধার হয় ঘর থেকে। রঞ্জিতার বাবা ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। কর্নাটকের চিত্রদুর্গের বাসিন্দা দর্শন সেচ দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে কর্মরত। স্থানীয়দের দাবি, দর্শন মাঝেমধ্যেই অনলাইনে জুয়া খেলতেন। সেই নেশার কারণে ধারের বোঝা বাড়ছিল তাঁর। যদিও দর্শনের শ্বশুরের পাল্টা দাবি, তাঁর জামাই নির্দোষ। তাঁকে এই জুয়া খেলতে বাধ্য করা হয়েছিল। বাধ্য করা হয়েছিল টাকা ধার নিতেও। যাঁদের কাছে থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন, তাঁরাই এই কাজ করিয়েছিলেন তাঁর জামাইকে দিয়ে।
দর্শনের শ্বশুরের আরও দাবি, দ্রুত টাকা উপার্জনের জন্য দর্শনকে লোভ দেখানো হয়। তার পর তাঁকে ফাঁদে ফেলা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছেন, দর্শনের ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। সেটি রঞ্জিতা লিখেছেন বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ। সেই সুইসাইড নোটে ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন রঞ্জিতা। তাঁর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে শিবু, গিরিশ এবং বেঙ্কটেশ নামে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।