পাঁচ বার আনা হয়েছিল অধ্যাদেশ। পঞ্চম অধ্যাদেশের মেয়াদ শেষের দিনে লোকসভায় পাশ হল নয়া শত্রু সম্পত্তি বিল। ফলে স্থায়ী ভাবে পাকিস্তান ও চিনে চলে যাওয়া ভারতীয়দের সম্পত্তিতে তাঁদের বংশধরদের আর কোনও অধিকার রইল না।
১৯৬৫ সালের ভারত-পাক যুদ্ধের পরে পাকিস্তান ও চিনে যাওয়া ভারতীয়দের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার ভাবনা শুরু হয়। ১৯৬৮ সালে পাশ হয় ‘শত্রু সম্পত্তি আইন’। ওই সম্পত্তি দেখাশোনার ভার যায় কেন্দ্রের ‘কাস্টোডিয়ান অব এনিমি প্রপার্টিজ’-এর হাতে। কিন্তু ওই আইনের কিছু দিক নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন রাজা মেহমুদাবাদের বংশধররা। উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে রাজা মেহমুদাবাদের বেশ কিছু সম্পত্তি রয়েছে। ফলে শেষ পর্যন্ত আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
নয়া বিল লোকসভায় পাশ হয়ে যায়। কিন্তু সিলেক্ট কমিটির সুপারিশ মেনে বিলে কিছু সংশোধন চান রাজ্যসভার সদস্যরা। ফলে ফের বিল আনতে হয় সরকারকে। শেষ পর্যন্ত আজ লোকসভায় পাশ হয়েছে বিল। তবে বংশধরদের সম্পত্তির অধিকার না দেওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল বলে এ দিনও যুক্তি দেন কয়েক জন। সেই যুক্তি উড়িয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বলেন, ‘‘পাকিস্তান সে দেশ ছেড়ে স্থায়ী ভাবে ভারতে চলে আসা মানুষের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। ন্যায়বিচারের খাতিরেই ভারতে এই পদক্ষেপ হওয়া উচিত।’’