—ফাইল চিত্র।
অতিমারি পরিস্থিতিতে সমস্ত রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধ রাখা হয়েছে আপাতত। কিন্তু বিভিন্ন রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কী ভাবে নির্বাচন করানো যায়, তা পর্যালোচনা করে দেখছে নির্বাচন কমিশন। তাতে কোভিড রোগীদের জন্য আলাদা পোলিং বুথ রাখার চিন্তাভাবনা করছে তারা। রাজনৈতিক নেতারা সশরীরে নির্বাচনী প্রচারে বেরোলে, সভাস্থলে যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকে, তার জন্য নির্দিষ্ট দূরত্বে মানুষের বসার ব্যবস্থা করতে হবে বলে মত তাদের।
এ বছর অক্টোবর-নভেম্বর নাগাদ বিহারে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর তার দিন ক্ষণ ঠিক হবে। তার আগে কোভিড পরিস্থিতিতে নির্বাচন কী ভাবে করানো যায়, তা নিয়ে নিয়মিত বৈঠক করছেন নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা। কমিশনের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সাধারণ মানুষ ও কোভিড আক্রান্তদের জন্য পৃথক বুথের ব্যবস্থা করা নিয়ে কথাবার্তা চলছে। কোভিড রোগীদের জন্য পার্সোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) পরিহিত প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীরা মোতায়েন থাকবেন বুথে।
কোভিড রোগীদের জন্য আলাদা বুথ নিয়ে চিন্তাভাবনা করার পাশাপাশি, বুথগুলিতে ভোটারদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টিও ভাবাচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে। তাই বুথের সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়ানো হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, অনেক নেতা সশরীরে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেবেন, তার জন্য সভাস্থলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কত জন মানুষকে বসানো সম্ভব, তা স্থানীয় প্রশাসনের হাতেই ছেড়ে দিতে পারে কমিশন। তবে নির্দিষ্ট দূরত্ব অনুযায়ী দাগ কেটে যাতে সকলের ব্যবস্থা করা হয়, সেই মতো নির্দেশ দেওয়া হবে। প্রয়োজন বুঝে ডিজিটাল প্রচারের অনুমতিও দিতে পারে কমিশন।
আরও পড়ুন: এক দিনে সুস্থ ৬২ হাজারেরও বেশি আক্রান্ত, কিছুটা নিয়ন্ত্রণে সংক্রমণ হার
আরও পড়ুন: কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু কলকাতার সহকারী পুলিশ কমিশনারের
এর আগে বিহারে ছ’দফায় নির্বাচন হয়েছিল, এ বার তা কমিয়ে দুই-থেকে তিন দফা করার পক্ষপাতী নির্বাচন কমিশন। তবে বিহারে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ১৫ হাজারে গিয়ে ঠেকেছে। করোনার প্রকোপে মৃত্যু হয়েছে ৫৭৪ জনের। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত আদৌ যুক্তিযুক্ত কি না, বিজেপি এবং নীতীশ কুমারের সংযুক্ত জনতা দল (জেডিইউ) বাদে বাকি সমস্ত রাজনৈতিক দলই তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এ ব্যাপারে তাদের সমর্থন করেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়ান্সের (ইউডিএ) আহ্বায়ক যশবন্ত সিংহ। তাঁর কথায়, ‘‘বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন করানো উচিত নয়।’’