রাজ্যসভায় বলছেন ডেরেক ও’ব্রায়েন —পিটিআই।
যে শিক্ষা দুর্নীতি নিয়ে বাংলার শাসকদল তৃণমূলকে বেঁধে বিরোধীরা, রাজ্যসভায় সেই শিক্ষাকে হাতিয়ার করেই নরেন্দ্র মোদী সরকারকে নিশানা করলেন রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। দিল্লির একটি কোচিং সেন্টারের বেসমেন্টে জল ঢুকে তিন পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় সংসদের দু’কক্ষই গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সেই প্রসঙ্গ তুলেই ডেরেক বলেন, ‘‘এই রকম মর্মান্তিক ঘটনায় রাজ্যসভা, লোকসভা যে ভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, তা তারিফযোগ্য। কিন্তু এই উদ্বেগ কি নিটের ক্ষেত্রে দেখানো হয়েছিল? যাতে ২৪ লক্ষ পড়ুয়া প্রভাবিত হয়েছে। এই উদ্বেগ কি মণিপুর কিংবা অসমের বন্যা নিয়ে দেখানো হয়েছে?’’
এর পরেই শিক্ষার ‘গোড়ার গলদ’ নিয়ে সরব হন ডেরেক। তাঁর কথায়, ‘‘শিক্ষা আজকে পণ্যে পরিণত হয়েছে। পুঁজি নিয়ন্ত্রণ করছে শিক্ষাকে।’’ ডেরেকের কথায়, ‘‘যাঁরা শিক্ষা বোঝেন, তাঁদের হাতেই শিক্ষা ব্যবস্থা থাকা উচিত। ‘এক্সাম ওয়ারিয়র্স’ নামে বই লিখলেই শিক্ষা সম্পর্কে সব বুঝে ফেলা যায় না।’’ রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় ডেরেকের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, বইয়ের নাম কী? জবাবে ডেরেক বলেন, ‘‘এক্সাম ওয়ারিয়র্স। এক জন স্বনামধন্য মানুষ সেই বইয়ের লেখক।’’ তবে লেখকের নাম করেননি ডেরেক। ওই বইটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লেখা।
শুধু নিট বা নেট নয়, সার্বিক ভাবে শিক্ষা ব্যবস্থার ‘ফাঁপা’ দিকটি তুলে ধরে মোদী সরকারকে নিশানা করেন ডেরেক। পরিসংখ্যান দিয়ে ডেরেক বলেন, ‘‘২০২৩ সালে রাজস্থানের কোটায় ২৬ জন ছাত্র আত্মঘাতী হয়েছিলেন। এ বছর সেই সংখ্যাটা ১৩।’’ এই প্রসঙ্গেই শিক্ষায় ‘পুঁজির আস্ফালনের’ প্রসঙ্গ টানেন ডেরেক। রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘‘দেশে ১০০ জন আত্মঘাতী হলে তাঁদের মধ্যে ১০ জন ছাত্র। আমাদের বোধহয় উদ্বিগ্ন হওয়ার সময় এসেছে।’’