হেমন্ত সোরেন। ফাইল চিত্র।
পাঁচ বার তলবেও তিনি সশরীরে হাজির দেননি এনফোর্সমেন্ট ডায়রেক্টরেট (ইডি)-এর দফতরে। এ বার ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তথা ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা হেমন্ত সোরেনের বাসভবনে হাজির হলেন ইডির আধিকারিকরা। শনিবার সকালে দিল্লি থেকে রাঁচীর কাঁকের রোডে সোরেনের সরকারি বাসভবনে এসে পৌঁছন ইডির তিন আধিকারিক।
ইডি আধিকারিকরা সোরেনের বাসভবনে ঢুকতেই তাঁর দলের সমর্থকরা সেখানে হাজির হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়, তাই নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, ১৩ জানুয়ারি সোরেনকে চিঠি পাঠিয়ে জানানো হয় ১৬-২০ জানুয়ারি তিনি যেন সময় দেন। তাঁর রেকর্ড বয়ান করা হবে। ইডির চিঠির জবাবে সোরেন জানান, ২০ জানুয়ারি বাসভবনে থাকবেন তিনি। সেই জবাব পাওয়ার পরই শনিবার সোরেনের বাসভবনে হাজির হন ইডি আধিকারিকরা।
ইডি সূত্রে খবর, রাঁচীতে জমি ক্রয়বিক্রয়ে যে আর্থিক তছরুপ হয়েছিল, সেই মামলায় সোরেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গত বছরের ডিসেম্বর এই মামলায় সোরেনকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আঞ্চলিক দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। সেটি ছিল পঞ্চম তলব। কিন্তু সেই তলবেও হাজিরা দেননি ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী।
আর্থিক তছরুপ বিরোধী আইন (পিএমএলএ)-এর আওতাধীন মামলায় সোরেনের বয়ান রেকর্ড করানোর জন্য তলব করা হয়েছিল সেই সময়। কিন্তু ইডির সেই তলবকে ‘বেআইনি’ বলে দাবি করেছিলেন তিনি। ইডি তখন নোটিস পাঠিয়ে জানিয়েছিল, বয়ান রেকর্ডের জন্য শেষ বারের মতো হাজিরা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। নোটিস পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে দফতরে হাজিরা দিতে হবে। কিন্তু তাতেও সাড়া না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে সোরেনের বিরুদ্ধে। বার বার তলবেও যখন হাজিরা এড়িয়েছেন সোরেন, তাই এ বার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁর বাসভবনেই পৌঁছে গেল ইডি।
এই মামলায় ইতিমধ্যেই ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন আইএএস ছবি রঞ্জন। তিনি রাজ্যের সমাজকল্যাণ দফতরের অধিকর্তা এবং রাঁচীর ডেপুটি কমিশনার ছিলেন।