নোট বাতিলের পর কালো টাকা সাদা করার চক্রের খোঁজে গোটা দেশে হানা দিলেন ইডি-র অফিসারেরা। ইডি সূত্রের বক্তব্য, ওই সময় তৈরি হয়েছিল হাজার হাজার ‘শেল কোম্পানি’। খাতায় কলমে অস্তিত্ব থাকলেও বাস্তবে যাদের ব্যবসা নেই। নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে এই সব ভুয়ো সংস্থা প্রায় ১২৩৮ কোটি টাকার পুরনো নোট জমা করেছে। যার সুফল কুড়িয়েছে প্রায় ৫৫০ জন। যাঁদের অধিকাংশই রাজনীতির কারবারি।
এই রিপোর্ট পেয়েই প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দেন, এই সব ভুয়ো সংস্থা এবং পিছনে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। তার পরেই আজ ১৬টি রাজ্যে ১০০টি জায়গায় হানা দেয় ইডি। কলকাতার বড়বাজার, টালিগঞ্জ, হাওড়া, সল্টলেক ইত্যাদি এলাকায় ৩৭টি লগ্নি সংস্থায় তল্লাশি চালায় ইডি-র ২২টি দল। এক তদন্তকারীর কথায়, ‘‘এমনও পেয়েছি, এক জন ডিরেক্টরের নামে ২০টি সংস্থা রয়েছে। তাঁর নামেই ৫০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট।’’ এই সব অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই কোটি কোটি টাকার বাতিল নোট সচল করা হয়েছে বলে ইডি অফিসারদের ধারণা।
আরও পড়ুন: মোদীর নিশানায় বিরোধীদের ঐক্য
ইডি-র দাবি, গোটা দেশে যে সব সংস্থায় তল্লাশি চলছে তার মধ্যে বেশ কিছু সংস্থা মহারাষ্ট্রের এনসিপি নেতা ছগন ভুজবল, ওয়াইএসআর-কংগ্রেসের জগন্মোহন রেড্ডি এবং বিএসপি-নেত্রী মায়াবতীর ভাইয়ের ঘনিষ্ঠ যাদব সিংহের হয়ে টাকা বদল করেছিল। তবে এ রাজ্যের কোনও নেতার সঙ্গে এই ধরনের সংস্থার যোগ আছে কি না, তা স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। যদিও ইডি সূত্রের বক্তব্য, কলকাতাতেই এই ধরনের শেল কোম্পানির সংখ্যা সব থেকে বেশি।
ইডি সূত্র আজ দাবি করেছে, মুম্বইয়ে জগদীশ পুরোহিত নামে এক জনের খোঁজ মিলেছে, যিনি ৭০০টি শেল কোম্পানি চালাতেন। তিনি ছগন ভুজবলের ৪৬ কোটি টাকা বদলে দেন। জগন্মোহনের টাকা পাল্টে দেওয়ার জন্য রাজেশ্বর এক্সপোর্ট নামে একটি সংস্থাকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি সূত্র।