—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
গুজরাতের ক্রিপটোকারেন্সি দুর্নীতির মামলায় ৪৩৩ কোটি টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। ব্যবসায়ী দিব্যেশ দর্জি সংক্রান্ত মামলায় ওই সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা সম্পদের মধ্যে রয়েছে সোনা, নগদ টাকা এবং ক্রিপটোকারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রা। আমেরিকান ডলার এবং ভারতীয় মুদ্রায় নগদ উদ্ধার করা হয়েছে। অর্থ তছরূপ প্রতিরোধ আইনে (পিএমএলএ) পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
ক্রিপটোকারেন্সি দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালে দিল্লি বিমানবন্দর থেকে দিব্যেশকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ব্রিটেনের ক্রিপটো সংস্থা বিটকানেক্টের এশিয়ার প্রধান ছিলেন। ২০১৬ সালে ভারতে নোটবন্দির পরপর ওই সংস্থা চালু হয়েছিল। দিব্যেশের বিরুদ্ধে লোক ঠকিয়ে ডিজিটাল মুদ্রায় কোটি কোটি টাকা আদায়ের অভিযোগ ছিল। বিটকয়েনের মাধ্যমে ১,২০০ কোটি ডলার প্রতারণার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। মূলত সুরতের সিআইডি ক্রাইম থানার আধিকারিকদের দায়ের করা এফআইআরের ভিত্তিতে এই মামলার তদন্ত করে ইডি। দিব্যেশ ছাড়াও এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে সতীশ কুম্ভানী, শৈলেশ ভট্টদের বিরুদ্ধে। এর আগে ৩০ কোটি ডলারের ক্রিপটোকারেন্সি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল অমিত ভরদ্বাজকেও।
কুম্ভানীর বিরুদ্ধে বিশ্ব জুড়ে বিটকয়েনের ব্যবসার একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ, তিনি সাধারণ মানুষকে বিটকয়েনের বিভিন্ন বিনিয়োগ প্রকল্পের লোভ দেখাতেন এবং বিনিয়োগে রাজি করাতেন। তাঁর পাতা ফাঁদে অনেকেই পা দিয়েছিলেন। প্রত্যেকেই প্রতারণার শিকার হয়েছেন। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, দিব্যেশদের মামলাতেই ইডি ৪৩৩ কোটি টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছে। তদন্তের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা জানতে পেরেছেন, ওই পরিমাণ সম্পত্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আয়ের কোনও সঙ্গতি নেই। তাই পিএমএলএ আইনে পদক্ষেপ করেছে ইডি।