ফাইল চিত্র।
ভারত সরকারের কর্তাদের বিপুল ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজ়নের বিরুদ্ধে। আজ এই বিষয়টিকে সামনে এনে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগল কংগ্রেস। এআইসিসি মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা আজ সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছেন, ‘‘এই সরকার একই সঙ্গে দেশের সম্পত্তি বিক্রি করছে, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগের বিনাশ ঘটাচ্ছে। মোদী সরকার চরম দুর্নীতিগ্রস্ত।’’
ভারতে ব্যবসা করার জন্য অ্যামাজ়ন গত দু’বছরে আইনি ফি হিসাবে ৮৫৪৬ কোটি টাকা ভারতীয় আমলাদের দিয়েছে বলে সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছে। ‘কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স’-এর তরফ থেকে কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। এই দুর্নীতির অভিযোগের সিবিআই তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে চিঠিটিতে। বলা হয়েছে, সব স্তর থেকে দুর্নীতি হটানোর যে পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের, এই ঘটনা তার পরিপন্থী। কোন সরকারি আধিকারিকেরা এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের নাম সামনে আনার দাবিও জানিয়েছে ওই সংগঠন।
আজ কংগ্রেস মুখপাত্র বলেন, “আমরা জানতে চাই, আইনি ফি হিসাবে এই ৮৫৪৬ কোটি টাকা সরকারের কোন কর্তাব্যক্তিদের দেওয়া হয়েছে? এই টাকা কি দেশে অ্যামাজ়নকে আরও সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য দেওয়া হয়েছে?” রণদীপের অভিযোগ, গত এক বছরে ১৪ কোটি মানুষ কর্মহীন হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ছোট ও মাঝারি শিল্প সংস্থার কর্মী থেকে শুরু করে ছোট দোকানদারেরা। অথচ মোদী সরকার আমেরিকার এই সংস্থাটিকে দেশে ছড়ি ঘোরাতে দেওয়ার ঘুষ নিচ্ছে।
ঘটনাচক্রে, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করতে আজই ওয়াশিংটন রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কংগ্রেস মুখপাত্রের প্রশ্ন, “আমেরিকা সফরে গিয়ে কি প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি উত্থাপন করবেন? অ্যামাজ়নের বিরুদ্ধে যাতে সে দেশের সরকার ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে তদন্ত শুরু করে, সেই অনুরোধ কি জানাবেন আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে? কোন কোন রাজনীতিবিদ এবং আমলাকে টাকা দেওয়া হয়েছিল, আমরা তার জবাব চাই। আইন বদল করানোর জন্যই কি এই উৎকোচ?” অ্যামাজ়নের অধীনস্থ যে ছ’টি সংস্থা এই ‘উৎকোচ দানের’ সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ উঠেছে, তাদের পারস্পরিক সম্পর্কের বিষয়টিও প্রকাশ্যে আনার দাবি তুলেছে কংগ্রেস।