ডিমা হাসাওয়ে সরকারি কর্মীদের একাংশ বেতন না পাওয়ায় এবং বৃষ্টির জেরে দুর্গাপুজোর আগে তেমন উন্মাদনা ছিল না। কিন্তু সপ্তমীর সন্ধে থেকেই হাফলং শহরের মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় জমে। অষ্টমীর সকালের বৃষ্টি হওয়ায় শঙ্কা ঘিরেছিল অনেকের মনে। কিন্তু সন্ধেয় বৃষ্টি থামতেই রাস্তায় নামেন শহরবাসী। নবমীতে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই মণ্ডপ সফরে বের হন অনেকেই। হাফলংয়ে এ বার ২২টি পুজো হয়। জেলায় পুজোর সংখ্যা ছিল ৫৫টি। মাইবাং দুর্গাবাড়ির পুজো ১০০ বছরে পা দিল। ওই পুজো ঘিরে উন্মাদনা ছিল। জেলার বিভিন্ন জায়গার দর্শনার্থীরা মাইবাং দুর্গাবাড়িতে ভিড় জমান। পুজোর শতবর্ষ পূর্তিতে উদ্যোক্তারা একটি বই উন্মোচন করেন।
হাফলং রামকৃষ্ণ সেবা সমিতির পুজোও প্রচুর দর্শক টানে। কলকাতা থেকে ঢাকির দল এ বার প্রথম পাহাড়ি জেলায় এসেছিলেন। সেই ঢাকের বাজনা শুনতে রামকৃষ্ণ সেবা সমিতির পুজোয় ভিড় জমে। হাফলং মা শক্তি দুর্গাপুজো কমিটি ও সরকারি বাগান দুর্গাপুজো কমিটিও দর্শনার্থীদের প্রশংসা পেয়েছে। দশমীতে হাফলং হ্রদে চলে বিসর্জন-পর্ব।