সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশন বাতিলের কথা ভাবছে কেন্দ্র। সরকারের একটি সূত্রের দাবি, হিমাচল ও গুজরাতের ভোট মিটলে ফেব্রুয়ারিতে সরাসরি বাজেট অধিবেশন করার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে বিজেপির শীর্ষ স্তরে। যদিও স্পিকার সুমিত্রা মহাজন এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু অধিবেশন ডাকার পক্ষপাতী।
গত বছর শীতকালীন অধিবেশন শুরু হয়েছিল ২১ নভেম্বর। গুজরাতে ভোটগণনা ১৮ ডিসেম্বর। সে ক্ষেত্রে এক মাসের অধিবেশনে সমস্যা নেই। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী-সহ শীর্ষ মন্ত্রীরা ইতিমধ্যেই দুই রাজ্যে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন। সেই ব্যস্ততা আরও বাড়বে। বিজেপির সূত্রের বক্তব্য, আপাতত কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিল যখন আনার নেই, তখন ভোটের মুখে সংসদ ডাকলে আখেরে বিরোধীদেরই প্রচারের সুযোগ করে দেওয়া হবে। সরকারের আরও একটি উদ্বেগ— রাহুল গাঁধীর আগ্রাসন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর তেড়েফুঁড়ে ওঠা, গুজরাতে গিয়ে জিএসটি আর নোট বাতিল নিয়ে ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ উস্কে দেওয়া চিন্তায় রেখেছে বিজেপিকে।
বেঙ্কাইয়া এবং সুমিত্রার যদিও মত, অধিবেশন ডাকা না হলে সংসদকে এড়ানোর অভিযোগ তুলবে বিরোধীরা। সরকারের বক্তব্য, সে ক্ষেত্রে ভোটের পরে দিন দশেকের অধিবেশন ডাকলেও চলবে। শীতকালীন অধিবেশন করতেই হবে, সংবিধানে এমন কিছু বলা নেই। শুধু বলা হয়েছে, দু’টি অধিবেশনের ব্যবধান যেন ছ’মাসের বেশি না হয়। বাদল অধিবেশন শেষ হয়েছিল ১১ অগস্ট। সে ক্ষেত্রে ছ’মাসের মধ্যে এমনিতেও বাজেট অধিবেশন বসছে। তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, ‘‘এত লুকোছাপার কী আছে জানি না। বছরের শুরুতে অধিবেশনের একটা ক্যালেন্ডার বেঁধে দিলেই তো হয়।’’