পাসপোর্ট হাতে সেই দম্পতি।
পাসপোর্ট কাণ্ডে নয়া মোড়। ধর্ম নিয়ে হেনস্থার শিকার লখনউয়ের দম্পতিকে ফের কোনঠাসা করতে এবার আসরে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। গত একবছর লখনউতে থাকতেন না অভিযোগকারিণী তনভি শেঠ। রিজিওনাল পাসপোর্ট অফিসকে দেওয়া রিপোর্টে এমনটাই দাবি করেছে লখনউ পুলিশ। গত একবছর নয়ডাতে থাকতেন তনভি শেঠ। অথচ পাসপোর্ট অফিসে দেওয়া তথ্যে তিনি লখনউয়ের ঠিকানা দেখিয়েছেন। পাশাপাশি, তোলা হয়েছে নাম নিয়ে অসঙ্গতিও। সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছেন স্পেশাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট রাজীবকুমার।
ভিন ধর্মে বিয়ে। অতএব নাম এবং ধর্ম বদলাতে হবে। নইলে পাসপোর্ট রিনিউ করা যাবে না। এভাবেই পাসপোর্ট অফিসে হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন তনভি শেঠ ও আনাস সিদ্দিকি। এরপরই আসরে নেমেছিলেন বিদেশমন্ত্রী। তাঁর হস্তক্ষেপে পাসপোর্ট তুলে দেওয়া হয়েছিল দম্পতির হাতে। সুষমার নির্দেশে সরে যেতে হয়েছিল অভিযুক্ত পাসপোর্ট আধিকারিক বিকাশ মিশ্রকে। যদিও সুষমার এই হস্তক্ষেপ ভাল চোখে নেয়নি বিজেপি-আরএসএস ও তাদের সমর্থকদের একটি অংশ। উত্তরপ্রদেশ সরকারও যে বিষয়টি সহজে ছাড়তে নারাজ, তা স্পষ্ট হল এই নয়া তদন্ত রিপোর্ট সামনে আসায়।
আরও পড়ুন: মোবাইলে পাসপোর্টের আবেদন, নয়া অ্যাপ চালু করলেন সুষমা
নতুন পরিস্থিতিতে বাতিল করা হতে পারে অভিযোগকারিণীর পাসপোর্ট। ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগে ৫০০০ টাকা জরিমানার মুখেও পড়তে পারেন তনভি। নয়া পুলিশি রিপোর্ট সামনে আসার পর দলের মধ্যেওপ্রশ্নের মুখোমুখি হতে পারেন সুষমা। হেনস্থার শিকার দম্পতির পাশাপাশি তাঁকেও কোণঠাসা করতে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এই রিপোর্ট কিনা, উঠছে সেই প্রশ্নও।
আরও পড়ুন: নাম,ধর্ম বদলাতে বলে হেনস্থা দম্পতিকে, হস্তক্ষেপ সুষমার