মদ্যপান করে গাড়ি চালানো বন্ধ করতে হাইওয়ের ধারে মদের দোকান বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এ বার মদ্যপান করে গাড়ি চালানোয় কড়া শাস্তির আইন আনছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।
শুক্রবার লোকসভায় কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গডকড়ী মোটর ভেহিকল আইনে সংশোধনী বিল পেশ করবেন। আইনে সংশোধন হলে মদ্যপান করে গাড়ি চালানোর জন্য ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। এখন যে জরিমানার পরিমাণ ২ হাজার টাকা। মোবাইলে কথা বলতে বলতে গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রেও জরিমানা বেড়ে হবে ৫ হাজার টাকা । এখন যে অপরাধে মাত্র ১ হাজার টাকা জরিমানা গুণতে হয়। কানে হেডফোন গুঁজে কথা বললেও ছাড় মিলবে না।
গত বছর অগস্টেই এই বিলটি সংসদে নিয়ে এসেছিলেন নিতিন। দ্রুত বিল পাশের আর্জি জানিয়ে তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন, দেশে প্রতি বছর ৫ লক্ষ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। দেড় লক্ষ মানুষ এতে প্রাণ হারান। সেই সময় বিলটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। স্থায়ী কমিটির প্রায় সব সুপারিশ মেনে নিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। মদ্যপান, মোবাইলে কথা বলার অপরাধে শাস্তি বাড়ানোর পাশাপাশি, ট্রাফিক সিগনাল না মানা, সিটবেল্ট-হেলমেট না পড়ে গাড়ি-বাইক চালানোতে ১ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। সঙ্গে তিন মাসের জন্য লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত হবে। সাংসদ-বিধায়ক বা সরকারি চাকুরে হলে ছাড় তো মিলবেই না। উল্টে দ্বিগুণ জরিমানা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: তা হলে নাক গলাব কাশ্মীরে, হুমকি চিনের
পরিবহণ মন্ত্রকের বক্তব্য, অনেকেই নাবালক ছেলের হাতে গাড়ির চাবি তুলে দেন। তার পর সেই গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়ে। যদি কোনও নাবালক গাড়ি চালাতে গিয়ে ধরা পড়ে এবং দুর্ঘটনা ঘটায়, তাঁর বাবা বা মা, যিনি গাড়ির মালিক, তাঁকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। সঙ্গে ৩ বছরের জেলও হবে। গাড়ির রেজিস্ট্রেশনও বাতিল হবে। ওই নাবালকের বিরুদ্ধেও নাবালক বিচার আইনে শাস্তি হবে। এত দিন শাস্তি ছিল ১ হাজার টাকা জরিমানা ও তিন মাসের জেল। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে দোষীকে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এই পরিমাণ ৮ গুণ বাড়ানো হচ্ছে। উবের-ওলার মতো গাড়ি পরিষেবা সংস্থাগুলিকেও আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। আইন না মানলে ২৫ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে।