—প্রতীকী চিত্র।
বেঙ্গালুরুতে ভূতাত্ত্বিক কে এস প্রতিমার খুনের ঘটনায় তাঁর প্রাক্তন গাড়িচালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কর্নাটকের খনি ও ভূতত্ত্ব দফতরের উপ অধিকর্তা পদে ছিলেন প্রতিমা।
কর্মসূত্রে বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা প্রতিমা ডোড্ডাকাল্লাসান্ড্রা এলাকায় একটি বাড়িতে একাই থাকতেন। স্বামী সূর্যনারায়ণ ও বছর ১৬-র ছেলে থাকেন শিবমোগার তীর্থহাল্লিতে। প্রতিমা
যে বাড়িতে থাকতেন তার এক তলায় থাকে একটি পরিবার। ৪ নভেম্বর রাত আটটা নাগাদ বাড়ি ফেরেন প্রতিমা। তার পর তাঁর ভাই প্রতীশ বারবার ফোন করেও প্রতিমার সঙ্গে কথা বলতে পারেননি। ফলে প্রতিমার বাড়িতে যান তিনি। তখনই উদ্ধার হয় প্রতিমার দেহ। পুলিশ জানিয়েছে, প্রতিমাকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে ও পরে গলা কেটে খুন করা হয়েছে।
প্রথমে খুনের উদ্দেশ্য খুঁজতে গিয়ে খনি ও ভূতত্ত্ব দফতরের তরফে প্রতিমা যে সব গুরুত্বপূর্ণ মামলার খোঁজখবর করছিলেন সেগুলি সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া শুরু করে পুলিশ। পরে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়, ব্যক্তিগত কারণেই প্রতিমাকে খুন করা হয়েছে বলে ধারণা তদন্তকারীদের। আজ মালে-মহাদেশ্বর হিলস এলাকা থেকে তাঁর প্রাক্তন গাড়িচালক কিরণকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার পরে উধাও হয়ে গিয়েছিল কিরণ। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ ছিল।
পুলিশের দাবি, জেরায় প্রতিমাকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে কিরণ। গত মাসে কিরণকে বরখাস্ত করেন প্রতিমা। তার জেরে ক্ষুব্ধ হয়েই সে প্রতিমাকে খুন করেছে বলে জানিয়েছে কিরণ। পুলিশের দাবি, ৪ নভেম্বর রাত সাড়ে আটটা নাগাদ প্রতিমাকে খুন করা হয়েছে।
প্রতিমার সঙ্গে প্রতিবেশীদের দেখা সাক্ষাৎ কমই হত বলে জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। ৪ নভেম্বর রাতে তাঁরা প্রতিমার বাড়ি থেকে কোনও শব্দও পাননি বলে জানিয়েছেন এক প্রতিবেশী। অন্য এক প্রতিবেশীর মতে, ওই এলাকায় এমন ঘটনার কথা তাঁরা ভাবতেও পারেন না।