দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বহনযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা। ছবি: এক্স।
‘শত্রু’র সাঁজোয়া গাড়িকে নিমেষে এবং নিখুঁত ভাবে ধ্বংস করতে সক্ষম। কাঁধে বহনযোগ্য দেশীয় প্রযুক্তির এমনই এক ট্যাঙ্করোধী ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করল ডিফেন্স রিসার্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও)। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্রটিকে বলা হচ্ছে ‘ম্যান পোর্টেবল অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল’ (এমপি-এটিজিএম)।
ডিআরডিও সূত্রে খবর, রাজস্থানের জয়সলমেরে এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করা হয়েছে। অনেকটা মর্টার লঞ্চারের মতোই এই ক্ষেপণাস্ত্রকে কাঁধে বহন করা যাবে। কাঁধে বসিয়েই এই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া যাবে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটিকে এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যে, দিনের আলোর পাশাপাশি রাতেও অনায়াসে লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত করে আঘাত করতে পারে। এতে ‘ডুয়াল মোড’ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
বহনযোগ্য এই ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল ১৪ এপ্রিল। পোখরান ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করা হয়েছে বলে ডিআরডিও জানিয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এই ক্ষেপণাস্ত্রের সফলমূলক পরীক্ষার জন্য সেনা এবং ডিআরডিওকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্র আত্মনির্ভরতার আরও এক নিদর্শন। শুধু তাই-ই নয়, প্রতিরক্ষায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নির্ভরতার ক্ষেত্রে আরও এক বড় পদক্ষেপ।”
এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রটি আড়াই কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুকে নিখুঁত ভাবে আঘাত করতে পারে। লঞ্চার-সহ এই ক্ষেপণাস্ত্রটির ওজন ১৫ কেজি।