USAID Fund Controversy

অনুদান বিতর্ক: ভারত প্রচুর সুযোগসুবিধা নেয়, এ বার আমাদের সাহায্য করুক, থামতেই চাইছেন না ট্রাম্প

ভারতে ভোটের হার বৃদ্ধির জন্য আমেরিকা প্রায় ১৮২ কোটি টাকা অনুদান দিত, যা সম্প্রতি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই অনুদানকে ‘অপ্রয়োজনীয়’ বলে পর পর মন্তব্য করে চলেছেন ট্রাম্প।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৯:১১
Share:
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতে মার্কিন অনুদান প্রসঙ্গে আবার মন্তব্য করেছেন।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতে মার্কিন অনুদান প্রসঙ্গে আবার মন্তব্য করেছেন। —ফাইল চিত্র।

ভারতে ভোটের হার বৃদ্ধির জন্য আমেরিকার অনুদান প্রসঙ্গে যে বিতর্ক দানা বেঁধেছে, প্রায় প্রতি দিনই তাতে ইন্ধন জুগিয়ে চলেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রতি দিন এ বিষয়ে কিছু না কিছু মন্তব্য করছেন তিনি। এ বার জানালেন, আমেরিকার থেকে অনেক সুযোগসুবিধা নেয় ভারত। বরং এখন ভারতের উচিত, আমেরিকাকে সাহায্য করা। ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পর আমেরিকার অনুদান নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে।

Advertisement

গত রবিবার ভারতের ২ কোটি ১০ লক্ষ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৮২ কোটি টাকা) অনুদান বন্ধের কথা ঘোষণা করে আমেরিকার সংশ্লিষ্ট দফতর। আন্তর্জাতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশকে অর্থসাহায্য করে থাকে আমেরিকা। অভিযোগ, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার সেই (ইউএসএইড) অনুদান আসত ভারতে ভোটের হার বৃদ্ধি করার জন্য। ট্রাম্প জানান, ভারতকে এই অর্থসাহায্যের কোনও প্রয়োজন নেই। শনিবার (স্থানীয় সময়) একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘ভারতকে তাদের নির্বাচনের জন্য আমরা এত টাকা কেন দেব? বরং ওরা আমাদের সাহায্য করুক। সেটা কেমন হবে? ভারতের কোনও টাকার প্রয়োজন নেই।’’

ট্রাম্প আরও বলেন, ‘‘ভারত আমাদের থেকে প্রচুর সুযোগসুবিধা নেয়। ওদের করের পরিমাণ অনেক বেশি। আমরা ওখানে কিছু বিক্রি করতে চাইলে ২০০ শতাংশ কর নেওয়া হয়! আর ওদের ভোটের জন্য আমরা টাকা পাঠাচ্ছি? কেন?’’ উল্লেখ্য, ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশের ২৫২ কোটি টাকার (২ কোটি ৯০ লক্ষ ডলার) অনুদানও বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। সেই অনুদানকেও একই ভাবে অপ্রয়োজনীয় বলেছেন তিনি।

Advertisement

আমেরিকার অনুদান প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামও করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘‘ভোটের হার বৃদ্ধির জন্য ২.১০ কোটি ডলার ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে যাচ্ছে! কিন্তু কেন আমরা এই টাকা ভারতকে দেব? আমাদেরও তো ভোটের হার বৃদ্ধি করা দরকার।’’ ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পর ভারতের বিদেশ মন্ত্রক থেকে বিবৃতি এসেছে। মন্ত্রকের মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘‘সম্প্রতি মার্কিন প্রশাসনের তরফে তহবিল সম্পর্কিত কিছু তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ হচ্ছে, যা উদ্বেগের।’’ বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘ট্রাম্পের প্রশাসনের আধিকারিকেরা কিছু তথ্য প্রকাশ করেছেন এবং অবশ্যই তা উদ্বেগের। ইউএসএইড নিয়ে আমরা কাজ করি কি না, তা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। ইউএসএইড-কে ভারতে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বছরের পর বছর ধরে ওই সংস্থা এখানে কাজ করছে। কিন্তু ওদের কাজ করতে দেওয়া হয়েছিল সরল বিশ্বাসে, ভাল কাজের জন্য। এখন কথা উঠছে, আমেরিকার অনুদান খারাপ কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার। যদি এই অভিযোগ সত্যি হয়, দেশের মানুষের এটা জানার অধিকার আছে যে, কারা সেই খারাপ কাজের সঙ্গে যুক্ত।’’ শনিবার ট্রাম্প আবার এই অনুদানের বিতর্ক উস্কে দিলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement