Mehbooba Mufti

ট্রাম্প গিয়েছেন, বিজেপি-ও যাবে, দাবি মেহবুবার

সম্প্রতি বন্দিদশা কাটিয়ে বেরিয়েছেন মেহবুবা। তার পর থেকে উপত্যকার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শ্রীনগর শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২০ ১৬:১৬
Share:

সাংবাদিক বৈঠকে মেহবুবা মুফতি। ছবি: পিটিআই।

ডোনাল্ড ট্রাম্প গিয়েছেন। এ বার বিজেপিও যাবে। মন্তব্য জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (পিডিপি)-র নেত্রী মেহবুবা মুফতির। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে আসল সমস্যাগুলি তুলে ধরায় ‘মহাজোট’-এর মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদবকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

সম্প্রতি বন্দিদশা কাটিয়ে বেরিয়েছেন মেহবুবা। তার পর থেকে উপত্যকার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। উপত্যকায় বসবাসকারী বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গেও আলোচনায় বসেছেন। সেই নিয়ে সোমবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘‘আমেরিকায় কী হল দেখলেন তো? ট্রাম্প হেরে গিয়েছেন। এ বার বিজেপিও যাবে।’’

বিহার বিধানসভা নির্বাচন নিয়েও এ দিন মন্তব্য করেন মেহবুবা। সমস্ত বুথফেরত সমীক্ষাই এখনও পর্যন্ত তেজস্বীকে এগিয়ে রেখেছে। সেই নিয়ে মেহবুবা বলেন, ‘‘তেজস্বী যাদবকে অভিনন্দন জানাই। নির্বাচনে আসল সমস্যাগুলি তুলে ধরেছেন উনি। একেবারে সঠিক পথে হেঁটেছেন।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: আমেরিকা ভুল শুধরে নিয়েছে, এ বার ভারতের পালা, মন্তব্য শিবসেনার​

আরও পড়ুন: বিহারে জল্পনা তেজস্বীকে ঘিরে, ‘চোরাশিকার’ রুখতে সক্রিয় কংগ্রেস​

৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই একজোট হয়েছে উপত্যকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। সম্প্রতি দেশের সমস্ত নাগরিককে উপত্যকায় জমি কেনার ছাড়পত্রও দিয়েছে তারা। সে নিয়েও এ দিন মুখ খোলেন মেহবুবা। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের সম্পদ নিলামে তোলা হচ্ছে। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের কথাই ভাবুন। তাঁদেরকেও তো অনেক বড় বড় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু গোটা উপত্যকাকেই নিলামে তুলে দিয়েছে তারা।’’

কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিলেও, বিজেপি তা পূরণ করতে পারেনি। তার জন্যই উপত্যকার যুব সমাজ অস্ত্র তুলে নিতে বাধ্য হচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন মেহবুবা। তাঁর বক্তব্য, ‘‘যুবসমাজের হাতে কাজ নেই। হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় দেখছে না তারা। জঙ্গি সংগঠনগুলিতে নিয়োগ বেড়েছে। অন্য রাজ্যের মানুষ উপত্যকায় কাজ পাচ্ছেন। আর এখানকার যুবকরা বেকার থেকে যাচ্ছেন। তাতে সরকারের প্রতি মোহমুক্তি ঘটছে তাঁদের। তাঁদের আস্থা অর্জন করতে অটলবিহারী বাজপেয়ীর নীতি মেনে চলতে হবে সরকারকে।’’

কেন্দ্রের ৩৭০ ধারা বিলোপের সিদ্ধান্তেরও তীব্র সমালোচনা করেন মেহবুবা। তিনি বলেন, ‘‘তেরঙ্গার মর্যাদা রক্ষায় হাজার হাজার কাশ্মীরিও প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন। ৩৭০ ধারার সঙ্গে হিন্দু-মুসলিম যোগ নেই। কাশ্মীরি পরিচয় রক্ষা করতেই সেটি আনা হয়েছিল। তা তুলে নেওয়ায় উপত্যকার মানুষ এখন ভবিষ্যত নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন। ওরা শুধু ৩৭০ ধারা খর্বই করেনি, অম্বেডকরের সংবিধানেরও চরম অবমাননা করেছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement