Kerala Flood

কেরলে বন্যায় যে ভাবে মৃত্যুর মুখ থেকে পরিবারকে বাঁচাল এই সারমেয়

‘‘ আমি ওকে এরকম ভাবে চিৎকার করতে কোনও দিন শুনিনি। রীতিমত হিংস্র আওয়াজ করছিল।  কিছু একটা গণ্ডগোল বুঝে বাইরে বেরিয়ে আসি। তখনই বুঝতে পারি বাইরের পরিস্থিতি।’’ জানিয়েছেন পি মহানন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

তিরঅনন্তপুরম শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৮ ১৪:০০
Share:

স্বস্তির সকাল। রকির সঙ্গে পি মহানন।

ইদুক্কি বাঁধ থেকে ছাড়া জলে এখন ধ্বংসস্তূপের চেহারা নিয়েছে গোটা ইদুক্কি জেলাই। শুধু কাঞ্জিকুঝি গ্রামেই খোলা হয়েছে ১২ টি ত্রাণ শিবির। সারা দেশ থেকে এখন বিচ্ছিন্ন দেশের এই অংশটি। বলতে গেলে পুরো গ্রামটিই জলের তলায়।

Advertisement

সেই গ্রামেই দুর্যোগের রাতে জলদি শুয়ে পড়েছিলেন পি মহানন ও তাঁর পরিবার। ভোর তিনটে নাগাদ হঠাৎই তাঁর ঘুম ভেঙে যায় বাড়ির কুকুর রকির চিৎকারে। প্রথম দিকে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি মহানন। বেশ কয়েক মিনিট কেটেও যায়। কিন্তু রকির চিৎকার অস্বাভাবিক লাগে গৃহকর্তার।

‘‘ আমি ওকে এরকম ভাবে চিৎকার করতে কোনও দিন শুনিনি। রীতিমত হিংস্র আওয়াজ করছিল। কিছু একটা গণ্ডগোল বুঝে বাইরে বেরিয়ে আসি। তখনই বুঝতে পারি বাইরের পরিস্থিতি।’’ জানিয়েছেন পি মহানন।

Advertisement

বাইরে এসেই উনি বুঝতে পারেন ভয়াল ধসের মুখে পড়েছে তাঁদের বাড়ি।তখনই রকি ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে তিনি বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন। বেরিয়ে আসার পরই মুহূর্তের মধ্যে জলের তোড়ে তলিয়ে যায় তাঁদের বাড়ি। গ্রামের পাশেই একটি ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা।

ইদুক্কি জেলার অধিকাংশ গ্রামই এখন জলের তলায়। ছবি: পিটিআই।

যদিও বাড়িটির ওপরের তলার বসবাসরত এক বৃদ্ধা মহিলাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। বাড়িটির সঙ্গে তিনিও জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছেন। বন্যা শুরু হওয়ার পর তাঁকে একা রেখেই পরিবারের সদস্যরা অন্যত্র পাড়ি দিয়েছিল। রকি ও পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে বেরিয়ে আসার পর ওই বৃদ্ধা মহিলাকে বাঁচানোর সময় পাননি মহাননও।

আরও পড়ুন: সূর্যকে এই প্রথম ছুঁতে যাচ্ছে সভ্যতা, রওনা হল নাসার মহাকাশযান

(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement