India China Conflict

‘জিনপিংয়ের কাছে সীমান্ত নিয়ে কি প্রশ্ন তুলেছিলেন মোদী’

প্রধানমন্ত্রী মোদী সীমান্ত প্রসঙ্গ তুলেছিলেন কি না, তা নিয়ে আজ রাজ্যসভায় প্রশ্ন তুলে দিলেন কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। তাতে আপত্তি তুললেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২২ ০৭:১৫
Share:

বালিতে জি-২০ সম্মেলনের সময় চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দেখা হয়েছিল। ছবি পিটিআই।

ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০ সম্মেলনের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের দেখা হয়েছিল। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী মোদী সীমান্ত প্রসঙ্গ তুলেছিলেন কি না, তা নিয়ে আজ রাজ্যসভায় প্রশ্ন তুলে দিলেন কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। বিজেপি নেতাদের সঙ্গে তাতে আপত্তি তুললেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ও।

Advertisement

বাজেট অতিরিক্ত খরচের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার সময় কংগ্রেস এই প্রশ্ন তোলায় বিজেপি সাংসদরা প্রবল প্রতিবাদ জানিয়েছেন। রাজ্যসভায় চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ও মন্তব্য করেছেন, চিদম্বরম বিষয়ের বাইরে চলে যাচ্ছেন। চিদম্বরম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে জিনপিংয়ের দেখা হয়েছিল, তাঁদের কথা হয়েছিল, মোদী জিনপিংয়ের সঙ্গে করমর্দন করেন। বিজেপি সাংসদরা এ নিয়ে আপত্তি তোলেন। ধনখড় বলেন, ‘‘আপনি প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে মতামত জানাচ্ছেন। দু’জনের কথা হয়েছিল বলে মন্তব্য করছেন।’’ সংবাদমাধ্যমে ভিডিয়োতে জিনপিংয়ের সঙ্গে মোদীকে করমর্দন করে, কথা বলতে দেখা গিয়েছিল বলে জানান চিদম্বরম। ধনখড় তাঁকে ওই ভিডিয়ো রাজ্যসভায় পেশ করতে বলেন। যাতে তা খতিয়ে দেখা যায়। চিদম্বরম বলেন, ‘‘আমি কী কথা হয়েছিল, তা জানতে চাইছি না। প্রশ্ন হল, প্রধানমন্ত্রী কি সীমান্তের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন? হ্যাঁ অথবা না, এইটুকু বললেই চলবে।” ধনখড় বলেন, চিদম্বরম ধূর্ত আইনজীবীর মতো একটি বিষয়ে ঢুকব না বলে তাতে ঢুকে পড়ছেন। চিদম্বরম বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সীমান্ত এলাকায় রণকৌশলগত প্রয়োজনে সড়ক তৈরিতে ৫০০ কোটি টাকা খরচ করতে চাইছে। এ বিষয়ে যা কিছু নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়। ধনখড় বলেন, যা কিছু মানেই সব কিছু নয়।

তাওয়াংয়ে চিনের সেনার অনুপ্রবেশের চেষ্টার খবর প্রকাশ্যে আসার পরে নতুন করে বিরোধীরা সংসদে চিন-সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার দাবি তুলেছেন। কিন্তু মোদী সরকার তা মেনে নেয়নি। তবে আজ বাজেট অতিরিক্ত খরচের প্রস্তাব নিয়ে চিদম্বরম সেই প্রসঙ্গে ঢুকে পড়েন। তিনি বলেন, ‘‘উত্তর-পূর্বের সীমান্তে কারা বিপদ, তা জানি। আমার প্রশ্ন হল, চিন কি হট স্পিং এলাকায় জমি ছেড়েছে? চিন কি ডোকলাম, ডেপসাংয়ে সংঘাতের এলাকাগুলি নিয়ে আলোচনায় রাজি হয়েছে? আমরা আরও বাফার জ়োন তৈরি করছি। যার অর্থ, ওই এলাকায় ভারত, চিন কেউই নজরদারি করবে না? ভারতীয় সেনা আগে যেখানে টহলদারি করত, সেখানে আর টহল দেবে না?” সীমান্তের ওপারে চিন কী ধরণের পরিকাঠামো তৈরি করেছে, তা-ও জানতে চান তিনি।

Advertisement

চিদম্বরম প্রসঙ্গের বাইরে চলে যাচ্ছেন বলে বিজেপির সাংসদরা অভিযোগ তোলেন। চেয়ারম্যান ধনখড় চিদম্বরমকে বলেন, সংসদের নিয়ম অনুযায়ী প্রসঙ্গের মধ্যেই থাকতে হয়। চিদম্বরম একাধিক উঁচু পদে ছিলেন। প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তার বিষয়ে তাঁর মন্তব্যে অন্যরকম প্রভাব পড়ে। অভিজ্ঞ সাংসদ হিসেবে তাঁর উচিত এমন আবহ তৈরি করা যাতে নিরাপত্তার প্রশ্নে দলাদলির ঊর্ধ্বে ওঠা যায়। কংগ্রেস সাংসদরা পাল্টা দাবি তোলেন, ‌প্রধানমন্ত্রী চিনের প্রেসিডেন্টের কাছে এইসব প্রসঙ্গ তুলেছিলেন কি না, তা সংসদের জানার অধিকার রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement