নিজের লেটার-হেডে অশোক স্তম্ভের ছবি ছেপে বিপাকে পড়েছেন হাইলাকান্দির এক পুরসদস্য। জাতীয় প্রতীক চিহ্নের অপব্যবহারের দায়ে তাঁর বিরুদ্ধে জামিন-অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলাটি ঠুকেছেন খোদ জেলাশাসক।
এমন অভিযোগ উঠেছে হাইলাকান্দির ১ নম্বর ওয়ার্ডের পুরসদস্য সাধনারানি নাথের বিরুদ্ধে। বেদতিক দেখে আপাতত তিনি নিরুদ্দেশ হয়েছেন। থানায় দায়ের মামলায় বলা হয়েছে, তিনি দেশের রাষ্ট্রীয় প্রতীক আইন ভেঙেছেন। জেলাশাসক বরুণ ভুঁইঞা এ কথা জানার পর তাঁরই নির্দেশে সাধনারানির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
আজ সদর থানার ওসি কনকচন্দ্র নাথ বলেছেন, ‘‘আমরা এ নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছি।’’ স্থানীয় সূত্রে খবর, এনআরসি সংশোধিত তালিকায় নাম তোলার জন্য বিভিন্ন ওয়ার্ডের পুরসদস্যের শংসাপত্রও প্রয়োজন। অন্যদের মতো ওই নিজের লেটার-হেডে শংসাপত্র দিচ্ছেন সাধনারানিও। কিন্তু ওই কাগজে আইন ভেঙে তিনি অশোকস্তম্ভের ছবি ছাপিয়েছেন।
এ খবর জানার পরই সক্রিয় হন জেলাশাসক। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত পুরসদস্যের হদিস মিলছে না। তাঁর খোঁজ চলছে। এই ঘটনায় সমস্যায় পড়েছেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের নাগরিকরা। এআরসি সংশোধিত তালিকায় নাম তুলতে স্থানীয় পুরসদস্যের শংসাপত্র পাচ্ছেন না তাঁরা। একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে— এর আগে সাধনারানির দেওয়া শংসাপত্রে অশোকস্তম্ভের ছবি থাকায় সেগুলি বাতিল হয়ে যাবে কি না?
পুলিশ জানিয়েছে, সে রকম শংসাপত্রগুলি খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। তা নিয়ে পরে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ ভাবে লেটার-হেডে অশোকস্তম্ভ ব্যবহার করে অভিযুক্ত পুরসদস্য আগেও কোনও শংসাপত্র দিয়েছিলেন কি না, তাও জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।