(বাঁ দিকে) কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র। Sourced by the ABP
ইন্ডিয়া মঞ্চে এ বার নতুন ‘ফাটল’। লোকসভা নির্বাচনে দিল্লিতে আম আদমি পার্টি ও কংগ্রেসের মধ্যে আসন রফা হলেও অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দল আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছিল, আগামী বছরের গোড়ায় দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে দু’দলের আসন রফা হবে না।
এ বার কংগ্রেস ঘোষণা করল, দিল্লির আম আদমি পার্টির সরকার ও কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদীর সরকার— দুই সরকারের বিরুদ্ধেই তারা ময়দানে নামছে।
কংগ্রেস সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল, রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার আদলে দিল্লির প্রদেশ কংগ্রেস রাজধানীতে ন্যায় যাত্রা করবে। আজ কংগ্রেস ঘোষণা করেছে, কেন্দ্রের মোদী সরকার ও দিল্লির আপ সরকার দিল্লির বাসিন্দাদের প্রতি যে ‘অবিচার’ করেছে, তার বিরুদ্ধে কংগ্রেস ন্যায় যাত্রা শুরু করছে। কংগ্রেস নেতৃত্বের বক্তব্য, দেশের রাজধানী হওয়া সত্ত্বেও অপরাধ, বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি, দূষণের মাপকাঠিতে দিল্লি পয়লা নম্বরে। কেন্দ্র ও দিল্লি, দুই সরকারই গত দশ বছরে দিল্লির মানুষের রোজকার সমস্যার সমাধান করতে পারেনি। কংগ্রেসের দিল্লি ন্যায় যাত্রা এ সব বিষয় মানুষের সামনে তুলে ধরবে। ৮ নভেম্বর রাজঘাট থেকে এই যাত্রা শুরু হয়ে ৪ ডিসেম্বর শেষ হবে। স্বাভাবিক ভাবেই ন্যায় যাত্রা থেকে আপ সরকারের বিরুদ্ধে কংগ্রেস প্রচার শুরু করলে পাল্টা আম আদমি পার্টিও আক্রমণ করবে। কেজরীওয়াল ইতিমধ্যেই প্রচারে নেমে পড়েছেন।
কংগ্রেস সূত্রের বক্তব্য, দিল্লির ৭০টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে দল মূলত দিল্লির সীমানাবর্তী ২৫টি বিধানসভা আসনকে পাখির চোখ করতে চাইছে। এর মধ্যে ৮টি মুসলিম অধ্যুষিত বিধানসভা কেন্দ্রও রয়েছে। কংগ্রেসের দাবি, সিএএ-বিরোধী আন্দোলন ও তারপরে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে হিংসার সময়ে অরবিন্দ কেজরীওয়াল মুসলিমদের পাশে দাঁড়াননি। তাই মুসলিমদের মধ্যে তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা কমেছে। তার ফায়দা কংগ্রেস পেতে পারে।