দিল্লির এইমস থেকে রাঁচীর হাসপাতালে পাঠানো হল লালুপ্রসাদকে। আজই দিল্লি থেকে রাজধানী এক্সপ্রেসে চাপিয়ে রাঁচীর উদ্দেশে রওনা করিয়ে দেওয়া হয় আরজেডি সভাপতিকে। এতে বেজায় চটেছে তাঁর দল। লালু নিজেই চিঠি লিখেছেন এইমসের নির্দেশককে। রাঁচীর হাসপাতালের পরিকাঠামো নেই বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। আরজেডি মুখপাত্র, ভাই বীরেন্দ্র বলেন, ‘‘ষড়যন্ত্র করে বিজেপি লালুপ্রসাদকে হেনস্থা করতে চাইছে।’’
এ দিন দৃশ্যতই ক্ষুব্ধ ছিলেন লালু। নয়াদিল্লি স্টেশন থেকে রাজধানী এক্সপ্রেসে চাপানোর জন্য তাঁকে নিয়ে আসা হয়। সে সময়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কনস্টেবল তাঁকে পিছনে আসতে বলেন। এতেই ফেটে পড়েন পশুখাদ্য মামলার সাজাপ্রাপ্ত নেতা। ঘুরে দাঁড়িয়ে কনস্টেবলকে বলেন, ‘‘আপকা এসপি মেরে বস নেহি হ্যায়। কাহে হম আপকা বাত মানে!’’ এর পরে আর কথা বাড়াননি ওই পুলিশকর্মী। সোজা ট্রেনের দিকে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।
তার আগে এইমসের নির্দেশককে সেখানে থাকতে চেয়েই চিঠি দেন তিনি। লালু লিখেছেন, ‘‘আমার শরীর এখনও ভাল হয়নি। আমার হৃদ্রোগ, কিডনির সমস্যা, সুগার ও আরও অন্য সমস্যা রয়েছে। কোমরে ব্যথা। সে কারণেই বাথরুমে পড়ে গিয়েছিলাম। বারবার মাথা ঘুরছে। উচ্চ রক্তচাপ এবং সুগার ওঠানামা করছে।’’ রাঁচীর হাসপাতাল ও জেলের হাসপাতালে কিডনির চিকিৎসার কোনও ব্যবস্থা নেই বলেও অভিযোগ তাঁর। সে কারণে রাঁচীর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় তাঁর যদি কোনও ক্ষতি হয়, তাক জন্য এইমসকে জবাবদিহি করতে হবে বলে দাবি করেছেন তিনি।
রাঁচীর হাসপাতালে লালুকে নিয়ে যাওয়াকে রাজনৈতিক চাল বলেই মনে করছেন রাজনীতির লোকজন। আগামী ১২ মে বড়ছেলে তেজপ্রতাপের বিয়ে। সেই বিয়েতে হাজির থাকতে চান বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু দিল্লির হাসপাতালে থাকলে প্যারোল না পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। আদালত তাঁর অসুস্থতার কারণ দেখিয়েই প্যারোল নামঞ্জুর করতে পারে বলে মনে করছে লালুর আইনজীবীরা। রাঁচীর হাসপাতালে পরিকাঠামোর অভার কথা তুলে জেলে ফেরত যাওয়ার রাস্তা খোলা রাখতে চাইছেন লালু। জেলে গেলে বড় ছেলের বিয়েতে থাকার আবেদন জানিয়ে আদালতে প্যারোল চাইতে পারবেন লালু। আদালতে সেই আবেদন গৃহীত হতে পারে বলে মনে করছেন আইনজীবীদের অনেকে।